স্বাস্থ্য ডেস্ক

  ১৮ নভেম্বর, ২০২১

চিকিৎসা ছাড়াই এইডস মুক্ত হওয়ার খবর

কোনো রকম ওষুধ বা চিকিৎসা ছাড়াই এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়্যান্স) বা এইডসে আক্রান্ত আর্জেন্টিনার এক নারী সুস্থ হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। বিশ্বে চিকিৎসা ছাড়া এইডস থেকে ‘আরোগ্য পাওয়া’ এটি দ্বিতীয় বিরল ঘটনা। এই ঘটনার পর চিকিৎসকদের বিশ্বাস, এই রোগীর ইমিউন সিস্টেমই এইডস ভাইরাসটিকে শরীর থেকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর্কাইভস অব মেডিসিন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই নারীর এক বিলিয়নেরও ওপরে সেল পরীক্ষা করা হয়েছে। তার পরও কার্যকর কোনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই পদ্ধতিটি কাজে লাগানো যায় তাহলে এটি সম্ভবত এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভ বা কার্যকর চিকিৎসার একটি পথ তৈরি করবে। চিকিৎসা ছাড়া এইচআইভি থেকে এই নারীর মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি এটাই নির্দেশ করে যে, কিছু মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই এইচআইভি সহনশীলতা নিয়ে জন্মায়। কিছু মানুষের এমন জিন থাকে যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। যদিও এইচআইভিতে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীরই দীর্ঘ সময় অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপির প্রয়োজন পড়ে। আর যদি তারা এই ওষুধটি নেওয়া বন্ধ করে দেন তাহলে সুপ্ত অবস্থায় থাকা ভাইরাস আবার সমস্যা তৈরি করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভাইরাসের ‘ভালো নিয়ন্ত্রণকারীর’ খবর পাওয়া গেছে যার সাহায্যে ভাইরাসকে দমিয়ে রাখা যায়। কিন্তু এইচআইভির কোনো ওষুধের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। এর আগে লন্ডনের অ্যাডাম ক্যাস্টিলেজো ক্যানসারের চিকিৎসা হিসেবে এক ডোনারের কাছ থেকে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট করেন। তিনিও এইচআইভিতে আক্রান্ত ছিলেন। পরে চিকিৎসকরা বলেছেন, স্টেম সেল গ্রহণের পর থেকে তার আর এইডসের ওষুধ নিতে হয়নি। এর মাধ্যমে এইচআইভি থেকে মুক্ত হন তিনি। কারণ ক্যানসারের চিকিৎসায় থেরাপি নেওয়ার সময় তার এইচআইভি ভাইরাস শরীর থেকে ধ্বংস হয়ে যায়। অ্যাডামকে স্টেম সেল দেওয়া ব্যক্তিই পৃথিবীর ১ শতাংশ মানুষের একজন যিনি এইচআইভি ভাইরাসের প্রবেশ এবং সংক্রামক সেলকে প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এটা পরিষ্কার না যে কত দিন পর্যন্ত অ্যাডাম এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকবেন। এ ব্যাপারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জন ফ্র্যাটার বিবিসি নিউজকে বলেছেন, এটা বলা একেবারেই অসম্ভব যে কেউ সত্যিই এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন। ব্যাপারটি প্রমাণ করতে চলমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন স্বাস্থ্য পরীক্ষকরা। প্রশ্ন হলো আসলেই কি ওই নারী নিজের ইমিউন দিয়েই সেরে উঠেছেন নাকি এক ধরনের অ্যাবর্টিভ ইনফেকশন হয়েছে। অর্থাৎ ইনফেকশন রোধ হয়েছে। যেটি সংক্রমণ বাড়ানোর চেষ্টা করতেছিল কিন্তু হঠাৎ থেমে গেছে। তার ইমিউন সিস্টেমে পরিষ্কার দেখা গেছে সংক্রমিত হওয়ার স্মৃতি আছে। তাই ভাইরাসটি যে ছিল সে ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close