নিজস্ব প্রতিবেদক
অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ৭ লাখ ডোজ টিকা পাঠাল জাপান
জাপান থেকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় দেশে এসেছে আরও ৭ লাখ ৮১ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এর আগেও তিন চালানে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠিয়েছে জাপান। কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেবে দেশটি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান বলেন, 'জাপান থেকে করোনার টিকা নিয়ে আসা ফ্লাইটটি দুপুর ৩টা ২৪ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে।’
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জসিম উদ্দিন খানসহ কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানও জাপান থেকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় টিকা আসার কথা নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বখশ জানান, ‘কর্মকর্তারা এসব টিকা গ্রহণ করেছেন। টিকাগুলো ইপিআইয়ের কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে।’
এ নিয়ে চতুর্থ চালান টিকা পাঠাল জাপান। এর আগে তিন চালানে জাপান মোট ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পাঠিয়েছে। এরমধ্যে গত ৩ আগস্ট ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ, গত ২৪ জুলাই ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ এবং ৩১ জুলাই ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা পাঠায় জাপান।
জাপানের পাঠানো টিকা নিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ২৬ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ ডোজ টিকা এসেছে বাংলাদেশে।
গত ২৫ জানুয়ারি ভারত থেকে কেনা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ আসে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা হয় এই টিকা। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে আসে ২০ লাখ ডোজ। এছাড়াও ভারতের উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়।
পিডিএসও/সোহেব