ডা. মো. মফিজুর রহমান রাজীব

  ১৬ এপ্রিল, ২০২০

ইনসুলিন পাম্প কাদের প্রয়োজন

আমার ১২ বছরের ডাক্তারি অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ডায়াবেটিস রোগীরা যারা আমার চেম্বারে আসে, তারা মোটামুটিভাবে আমার কথা মেনে চলে বা চলার চেষ্টা করে। নিয়মশৃঙ্খলা, খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে, নিয়মিত ওষুধ খায়। আমি চেষ্টা করি তাদের এ বিষয়ের ওপর বোঝানোর জন্য। যেহেতু তারা মোটামুটিভাবে মানে, তাই আমার বিশ্বাস আমার বোঝানো যথেষ্ট। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ হয় তখনই, যখন কোনো রোগীকে বলি, আপনার মুখে খাবার ওষুধে আর কাজ করবে না বা কিছু দিনের জন্য ইনসুলিন নিতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের চেহারা বদলে যায় এবং দেখা যায় অনেক রোগীই বেশ কিছু দিনের জন্য অনুপস্থিত আমার চেম্বারে। আমি যা বোঝার বুঝে নিই। আমার ওপর তারা আস্থা হারিয়েছে, অন্য কোনো ডাক্তারের কাছে গেছে। যদিও বেশির ভাগই আবার ফিরে আসে, তবে খুব কষ্ট নিয়ে থাকে, ইনসুলিন নেওয়ার ব্যাপারটাই কেউ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। আজকের লেখাটা তাদের জন্য, যারা ইনসুলিনকে মনে-প্রাণে অপছন্দ করেন। অথচ নিতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য, বেঁচে থাকার জন্য। তাদের জন্য এখন বাংলাদেশে এসেছে ইনসুলিন পাম্প। ইনসুলিন পাম্প হলো এমন একটা ডিভাইস, যা দিয়ে ইনসুলিন দেয়া হবে শরীরে; কিন্তু দিনে দুবার বা তিনবার সুই দিয়ে ফুটো করতে হবে না। একবার সেট করে দিলেই ওটা অটোম্যাটিক ইনসুলিন নিতে থাকবে। রক্তের গ্লুকোজের

মাত্রানুযায়ী ইনসুলিন সরবরাহ করে কিংবা বিশেষ প্রয়োজনে নিজ থেকে বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া রক্তের সক্রিয় ইনসুলিনের মাত্রা জানিয়ে দেবে।

ইনসুলিন পাম্প কী : এটি শরীরের বাইরে বহনযোগ্য মোবাইল ফোনের মতো একটি ডিভাইস। এ ডিভাইসটি দিয়ে প্রয়োজন মতো ইনসুলিন বার বার ইনজেকশন না দিয়ে শরীরে প্রবেশ করানো যায়। এটা আপনার বেল্টের সঙ্গে আটকে রাখা, পকেটে রাখা অথবা কাপড়ের নিচে রাখা সম্ভব। এ পাম্প ব্যবহার করলে খাবার খাওয়ার, কাজকর্মের কিংবা বারবার ইনসুলিন নেওয়ার দুশ্চিন্তা ও কঠিন নিয়ম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনকি পছন্দের খাবার খাওয়ার আগে বোলাস ডোস নিয়ে উৎসবে-আনন্দে সবার সঙ্গে অংশগ্রহণ করা যায়। বিশেষ করে শিশু, অক্ষম ও বৃদ্ধদের এবং যাদের রক্তের গ্লুকোজ অনেক বেশি ওঠানামা করে তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

খিলগাঁও ডায়াবেটিক ও স্পেশালাইজড ডক্টরস চেম্বার ঢাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close