নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসিক ব্যাংকের ১৪ মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

আলোচিত বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা ৫৯টি মামলার ভেতরে ১৪টি মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ আদেশ দিয়েছেন। ১৪টি মামলার ভেতর একটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে ও বাকি ১৩টি মামলা চার্জ গঠনের শুনানি পর্যায়ে ছিল। এসব মামলার আসামি শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রাজিব দে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক এর আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৫৯টি মামলা করে। এসব মামলার কোনোটিতেই শেখ আবদুল হাই আসামি ছিলেন না। তবে অভিযোগ ছিল, বেসিক ব্যাংকের মতো ভালোমানের একটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংককে কেলেঙ্কারিময় ব্যাংকে পরিণত করার হোতা ছিলেন শেখ আবদুল হাই। এরপর ৭ বছর তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের জুনে ৫৯ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। এর মধ্যে ৫৮টিতে নাম আছে শেখ আবদুল হাইয়ের। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামির তালিকায় আছেন ৪৬ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ১০১ জন গ্রাহক। এসব মামলার কোনোটিতে পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করেনি দুদক। এদিকে গত বছরের ৫ নভেম্বর বেসিক ব্যাংকের প্রায় ৯৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের চার সদস্যকে গত ২ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন। কিন্তু তারা সবাই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন, তাই আদালতে হাজির হননি। পরিবারের চার সদস্য হলেন- বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ সাবিত হাই অনিক।
"