প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
হেলিকপ্টার-বিমান সংঘর্ষ, নদী থেকে ৩০ মরদেহ উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির রেগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে গত বুধবার সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী বিমানের মধ্যে মাঝ আকাশে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর দুটি আকাশযানই পোটেম্যাক নদীতে পড়ে যায়। সেখান থেকে অন্তত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনবিসি-৪-কে এ তথ্য জানিয়েছে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটিতে ৬০ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন তিনজন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সহযোগী সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, মাঝ-আকাশে বিমান ও হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের পর বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তবে হেলিকপ্টারটি অক্ষত আছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, নদীর ওপর ঘটা এই দুর্ঘটনার পর বিধ্বস্ত বিমানটি এখন পানির ৫-৮ ফুট গভীরে রয়েছে। এ ছাড় ডুবুরি দল বিমানের দুটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি খুঁজে পেয়েছে বলে জনা গেছে। ডুবুরিদের দল বিধ্বস্ত বিমানের কেবিনের কিছু অংশে প্রবেশ করতে পেরেছে এবং তারা এখন পর্যন্ত যেসব জিনিস উদ্ধার করেছে তার মধ্যে লাগেজও রয়েছে বলে সিবিএস নিউজ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, সংঘর্ষে হেলিকপ্টারটি উল্টে গেছে। কিন্তু এটির বেশিরভাগই অক্ষত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বিমানের আরোহীদের মধ্যে তরুণ ফিগার স্কেটাররা ছিলেন। যারা একটি জাতীয় অনুশীলন ক্যাম্প শেষে ফিরছিলেন। এই স্কেটারদের কেউ কেউ ২০৩০ সালের অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
রয় বেস্ট নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে বলেন, তিনি বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর মাঝ আকাশে আগুনের বিশাল কুণ্ডলী দেখেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই বিমান ও হেলিকপ্টার নদীতে পড়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, ওই বিমানবন্দরটি সবসময় ব্যস্ত থাকে। সেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী এমনকি কোস্টগার্ডের হেলিকপ্টার ওঠানামা করে।
"