নিজস্ব প্রতিবেদক
দাবির নগরী ঢাকায় পদে পদে ভোগান্তি

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করছেন। একই দাবিতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এদিকে চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা। নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিদিন এ ধরনের কোনো না কোনো কর্মসূচি থাকছে রাজধানীতে। রাজধানী ঢাকা যেন এখন দাবির নগরীতে পরিণত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের দিন যানজটে রাজধানীর মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। এদিকে রাজধানীর সরকারি সাতটি বড় কলেজের জন্য ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম প্রস্তাব করেছে মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন কমিটি।
তিতুমীর কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধে ভোগান্তি : রাজধানীর গুলিস্তান থেকে বাসে বেলা ১২টার দিকে রওনা হন শফিকুর রহমান, বিকেল সোয়া ৪টায় তিনি বাসেই বসেছিলেন তেজগাঁওয়ের তিব্বত এলাকায়। তিনি বলেন, ‘কলেজের ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় বসেছে, ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। গাড়ি এগোচ্ছে না। এখনো সাত রাস্তার মোড়েই পড়ে আছি। সঙ্গে কিছু মালপত্র আছে বলে হেঁটেও যেতে পারছি না।’ একই অবস্থা শবনব মুশতারির। অসুস্থ মাকে দেখতে বনানী যাবেন, কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়িতে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে আটকেছিলেন তিন ঘণ্টা ধরে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার সরকারি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধে রাজধানীর গুলশান-বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট ও মগবাজার এলাকায় তৈরি হয়েছে ভয়াবহ যানজট।
রাতেও সড়ক ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা। তাদের কেউ কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েন। অন্যদের ব্যানার হাতে সড়কে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরসহ সাত দাবিতে পাঁচ শিক্ষার্থীর অনশনের মধ্যে বৃহস্পতিবার গুলশান-মহাখালী সড়ক আটকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
আন্দোলনকারীদের একজন আলী আহমদ বলেন, ‘আমাদের পাঁচজন বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবিতে অনশনে ছিলেন। ক্যাম্পাস শাটডাউন থাকার পরও অধ্যক্ষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। অনশনরতরা অসুস্থ হওয়ার পরও তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেননি। ‘উল্টো তাদের দিকে মাইক দিয়ে গান-বাজনা চালাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধ করেন।’
এ অবরোধের ফলে বিশ্ব ইজতেমার আগের দিন মহাখালী ও আশেপাশের এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী-পথচারীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মগবাজার থেকে গুলশান-বনানী সড়ক একেবারেই থমকে থাকতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছোটেন অনেকে। তবে দূরের যাত্রীরা ব্যাগপত্র, মালামাল নিয়ে বাসেই অপেক্ষা করেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিকাল সাড়ে ৪টায় তেজগাঁও এলাকায় কথা হয় মুনসুর আলীর সঙ্গে। তিনিও বাসে বসেছিলেন, তবে অবস্থা বেগতিক দেখে হাঁটা দেন। তিনি বলেন, ‘বলাকা পরিবহন থেকে নেমে হেঁটে রওনা হয়েছি, যাব কারওয়ানবাজার। কোনো অলিগলিই ফাঁকা নেই। সব যেন জ্যামে অচল হয়ে গেছে।’ ৭০ বছর বয়সি এ ব্যক্তি হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সাত রাস্তার মোড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার হাঁটা শুরু করেন। বিরক্তির স্বরে তিনি বলেন, ‘এভাবে ধর্মঘট হবে, সরকার নিশ্চুপ, প্রশাসন নিশ্চুপ- আমরা সাধারণ মানুষ যাব কোথায়?’
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে পুরো মহাখালী, তেজগাঁও এলাকায়। ওইদিকে গাড়ি খুব ¯ে¬া পাস হচ্ছে, যে কারণে তীব্র জটলা তৈরি হয়েছে। ‘আমরা মহাখালী এলাকার সঙ্গে সমন্বয় করে রেগুলার ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখার চেষ্টা করছি। যারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে, তাদের সেদিক দিয়ে পাস করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা চেষ্টা করছি।’
ট্রাফিক গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘উত্তরা থেকে আসা যানবাহনগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে পাস করার চেষ্টা করছি। বিপরীত দিকের গাড়িগুলোকেও বনানীর দিকে পাঠিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ‘একেতো আজ বৃহস্পতিবার, তার মধ্যে কালকে আবার ইজতেমা। আমরা ডাইভারস দিয়ে কোনোরকম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এদিকে দুপুরে ঢাকার অপর প্রান্ত শনিরআখড়া এলাকার দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শিক্ষার্থীরাও প্রায় ঘণ্টা দুয়েক সড়ক অবরোধ করেন। ফলে যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামগামী সড়কেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দনিয়া কলেজের সামনে মিনহাজুল ইসলাম নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে তারা সড়কে নেমে বিক্ষোভ দেখান প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. আজাদ রহমান বলেন, সম্প্রতি দনিয়া কলেজের একজন শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টা দুয়েক অবস্থানের পর তারা সরে যান।
শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি : শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিগুলো হলো তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীদের আবাসিক খরচ বহন। ২০২৪-২৫ সেশন শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত ন্যূনতম দুটি বিষয় (আইন ও সাংবাদিকতা) সংযোজন। একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ। শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিতকরণ। আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
সাত কলেজের জন্য ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’: রাজধানীর সরকারি সাতটি বড় কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার, সেটির নাম হতে পারে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’। এ নাম প্রস্তাব করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন কমিটি। শিক্ষার্থীরা চাইলে এ নামটি গ্রহণ করা হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজসহ এ সংক্রান্ত কমিটির তিন সদস্য শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই এ নামটি প্রস্তাব করা হয়।
এ বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, কয়েকটি নামের মধ্যে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামটি তাদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে। শিক্ষা উপদেষ্টাও এ নামের প্রশংসা করেছেন। তবে ছাত্ররা যেটা বলবে সেটাই চূড়ান্ত হবে।
এই সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ, শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার এ সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না।
সরকারি এ সাতটি বড় কলেজের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। এজন্য ইউজিসির মাধ্যমে একটি কমিটি কাজ করছে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে ইউজিসি এ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠকও করেছে। শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সম্ভাব্য নাম নিয়েও আলোচনা করেছে কমিটি। এর পাশাপাশি এ সাত কলেজের জন্য অন্তর্র্বর্তী প্রশাসন গঠন নিয়েও আলোচনা চলছে।
রবিবার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ৫ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা : চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সড়কে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সড়ক থেকে সরে গেছেন। বেলা ১১টার দিকে তারা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। এর ফলে ওই এলাকার পাশাপাশি আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সড়ক ছেড়ে যাওয়ার সময় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা (কনস্টেবল থেকে উপপরিদর্শক) আগামী রবিবার সকালে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগে তারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে চাকরিচ্যুত দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় তারা রাস্তায় সেখানেই বসে পড়েন। বেলা ১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে তাদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে যায়। কিন্তু সেসময় উপদেষ্টা সচিবালয়ে না থাকায় তারা ফিরে আসেন। বেলা সোয়া ৩টার দিকে সচিবালয়ের মোড়ে সাংবাদিকদের বলেন, তারা আগামী রবিবার সকালে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন।
সচিবালয় থেকে ফিরে এসে প্রতিনিধিদলের একজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ (গতকাল) আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দেখা পাইনি। কারণ তিনি তখন সচিবালয়ে ছিলেন না।’ বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা সড়ক ছেড়ে চলে যান। গতকাল বিকেলে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের রমনা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা গতকাল বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সড়ক ছেড়ে চলে গেলে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সড়ক ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রবিবার সকালে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন তারা।
পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল থেকে উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার ২ হাজার ২০০ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা দাবি করেছেন।
ফলের ওপর কর কমানোর দাবিতে মানববন্ধন, দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, আমদানিকৃত ফলের ওপর অতিরিক্ত কর কমানো এবং ফলকে বিলাসী পণ্যের তালিকা থেকে বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে দিনাজপুরের ফল ব্যবসায়ীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা শহরের বাহাদুর বাজার ট্রাফিক মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
দিনাজপুর ফল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মঈনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম খান, দিনাজপুর জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জহির শাহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা ফলকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে গণ্য করে কর কমানোর দাবি জানান। ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বর্ধিত কর প্রত্যাহার না করলে, পরদিন থেকে দেশের সকল স্থল ও নৌবন্দর হতে ফল খালাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ফল ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধনে ‘ভ্যাট কমাও ট্যাক্স কমাও, ফল সকলকে খেতে দাও, শুল্ক কমান পুষ্টির দ্বার খুলুন, সুস্থ জীবনের জন্য ফলকে সহজলভ্য করুন,’ ইত্যাদি স্লোগান লিখিত ফেস্টুন নিয়ে স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করে।
"