নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলবের পাল্টা তলব দিল্লির

সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মো. নুরুল ইসলামকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয় এবং সীমান্ত নিয়ে ভারতের বক্তব্য অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

সরকারের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কূটনীতিতে এটি হচ্ছে একটি সাধারণ রীতি- বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলে দিল্লিতে ঢাকার উপহাইকমিশনারকে তলব করা হবে। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিষয়ক অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব তলব করেন।

কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, নয়াদিল্লি সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে এবং সেখানে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে যে মেকানিজমগুলো আছে, সেগুলো চালু করা দরকার। অমীমাংসিত বিষয়গুলো হয়তো সমাধান হবে না, কিন্তু আলোচনা করাটা জরুরি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া তৈরি নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। গত রবিবার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দীন দেশের উদ্বেগের কথা জানান।

পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পরে ভারতীয় প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধশূন্য সীমান্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাতে চোরাচালান, মানব পাচার ও অপরাধীদের চলাচল রোধ করা সম্ভব হয়। তিনি জানান, নিরাপত্তার জন্য বর্ডার ফেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে একটি সমঝোতা আছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এর জন্য যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। আমরা আশা করি, যে সমঝোতা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন হবে। অপরাধ প্রতিরোধের জন্য দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে বলে আমরা আশা করি।

দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী সীমান্তে শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের সম্মতির বিধান রয়েছে। বর্তমানে সীমান্তে ভারত যে কাঁটাতারের বেড়া তৈরির চেষ্টা করছে, সেটির কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। সমঝোতা অনুযায়ী, সীমান্তে শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে কাঠামো তৈরির সময় যৌথ পরিদর্শন, সম্মতি এবং রেকর্ড অব ডিসকাশনে সেটির উল্লেখ থাকতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close