জাহিদুল ইসলাম
নানা পদক্ষেপেও কমছে না ব্যাংক খাতের অস্থিরতা
অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের আর্থিক কাঠামো পুনর্গঠন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ১২০ দিন পার হয়েছে। এ সময়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্বস্তি দেখা যাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে। তবে স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকারকে সময় দেওয়ার কথাও বলছেন বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা।
৫ আগস্ট সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে টেনে তুলতে ব্যর্থতা। এর সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকার ঘনিষ্ঠরা শতকোটি থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হলেও খাবার ও নিত্যপণ্য কিনতেই হিমশিম খেতেন সাধারণ মানুষ। মানুষের এ পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ রেখে সরকার গঠনের পর থেকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে থাকে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফেরত আনা এবং মূল্যস্ফীতি কমিয়ে নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। কিন্তু এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভেতরে কোনো স্বস্তি ফিরে আসেনি।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশের মানুষকে বিগত কয়েক বছর ধরেই মূল্যস্ফীতি; বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন ঘটলেও এ একটি জায়গায় এখনো কোনো বদল আসেনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১.৩৮ শতাংশ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩.৮০ শতাংশ। এর আগে অক্টোবরে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০.৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১২.৬৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৯২। দেখা যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতি ক্রমেই বাড়ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একাধিকবার বাড়িয়েছে নীতি সুদহার। তুলে নেওয়া হয়েছে আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ। তাতেও সুফল আসেনি।
এছাড়া ব্যাংক খাত সংস্কারে ১১ সেপ্টেম্বর একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। গত কয়েক মাসে ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারল্য সংকটের কারণে ১১ আগস্ট ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সেই সীমা তুলে নেওয়া হয়। সম্প্রতি সাতটি দুর্বল ব্যাংককে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও স্বীকার করেছেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ওইসময় পর্যন্ত নতুনভাবে ছাপিয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা অসম্ভব বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরও মূল্যস্ফীতির এ সূচককে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিবিএস যেদিন তথ্য প্রকাশ করে, সেদিন গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, আগে মূল্যস্ফীতির হিসাব কমিয়ে দেখানো হতো। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত হিসাব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে এমনটা জানিয়ে গত ১১ নভেম্বর একটি অর্থনৈতিক সম্মেলনে গভর্নর বলেন, মুদ্রানীতির সুফল পেতে অন্তত এক বছর লাগবে। মাত্র চার মাস পার করেছি, মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো ৮ মাস সময় দিতে হবে।
এদিকে সুদহার বৃদ্ধি করায় বিপাকে পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিনের সংবাদকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ফলে বাজারে চাহিদা এবং সরবরাহ কমে আসছে, অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং কর্মসংস্থান কমে আসার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণীকরণে নতুন নির্দেশনার বিষয়ে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণীকরণের নতুন নীতিমালার ফলে কুঋণের চাপে পড়তে পারেন ব্যাংক ও ব্যবসায়ীরা।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অর্থনীতির যে উদ্যোগটি সবচেয়ে বেশি সফল বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা; সেটি হলো বৈদেশিক মুদ্রা বাজার ব্যবস্থাপনা। এর ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন ঠেকানো গেছে বলে মনে করেন তারা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগ থেকে সবচেয়ে বেশি ফল দেখা যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে. মুজেরী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের সঙ্গে অনেকটাই সংগতিপূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন ঠেকানো গেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর ক্ষেত্রে যে রেট দেওয়া হয়, সেটাকে বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ রাখতে পারলে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকবে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ লক্ষ করা গেছে।
এদিকে মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যাংক খাতে সুদহার ক্রমাগত বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিম, পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার ও হ্রাস করেছে সরকার। ফ্যামিলি কার্ডধারী ছাড়াও মধ্যবিত্তের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় টিসিবির ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম। পাশাপাশি নিয়মিত করা হচ্ছে বাজার তদারকি। কিন্তু এতসব পদক্ষেপের পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ফল দেখা যাচ্ছে না। এমনকি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) মূল্যস্ফীতির এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে। বাজার মনিটরিংয়েও সুফল না মেলা সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাজার তদারকির সময় খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাদের জরিমানা করা হয়। কিন্তু বিক্রেতারা পরে ভোক্তার কাছ থেকেই সেই জরিমানার খরচ তুলে নেয়।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ৪ মাস পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে চলেছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মূলধন ঘাটতি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক তথ্যে জানা গেছে, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাংক খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণ ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে শ্রেণীভুক্ত বা খেলাপি ঋণের (নিম্নমান, সন্দেহজনক এবং মন্দ) পরিমাণ ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১৬.৯৩ শতাংশ।
তবে খেলাপি ঋণে বরাবরের মতোই সবার ওপরে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংক। সম্মিলিতভাবে এ ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণ ৩ লাখ ১২ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকার বিপরীতে খেলাপি হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১১৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিতরণকৃত ঋণের ৪০.৩৫ শতাংশ খেলাপি। এ সময়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ১২ লাখ ৬১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা বা ১১.৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মূলধন ঘাটতি ছিল ৫৫ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ঘাটতি ছিল ৪০ হাজার ২০৪ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ১৫ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, সুদহার বৃদ্ধিতে ব্যবসা সংকট, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি ও মূলধন ঘাটতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ কেন দৃশ্যমান হচ্ছে না- এমনটা জানতে চাওয়া হয় মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখার কাছে। তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আমরা দায়িত্ব নিয়েছি কয় দিন হলো। গত ১৫ বছরের যে অনিয়ম সেটা দূর করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কি এত তাড়াতাড়ি সম্ভব? এজন্য কিছুদিন সময় দিতে হবে। আমাদের গভর্নর স্যার বলেছেন, এক বছর লাগবে। আশা করি, এরপর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসলে সুদহার এমনিতেই কমে যাবে। তখন ব্যবসায়ীরাও সুফল পাবেন।
তবে আর্থিক খাতে সরকারের এত পদক্ষেপের পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সুদহার বৃদ্ধির কারণে ব্যবসার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন। তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে সুদহার বাড়ানো হচ্ছে এবং এ কারণে ব্যবসার ব্যয়ও বাড়ছে। ব্যবসার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তার দায় নিতে হচ্ছে ভোক্তাদেরই। এরই চূড়ান্ত পরিণতি হলো মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি।
ক্যাব সহসভাপতি আরো বলেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেকগুলো পণ্যের আমদানি শুল্ক কমালেও ভোক্তারা তার সুফল পাচ্ছে না। এর কারণ হলো আমদানি শুল্ক বা কর কমানো হলেও ব্যবসায়ীরা দাম কমাতে গেলে নানা অজুহাত সামনে নিয়ে আসে। অথচ বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সে পণ্য দেশে আমদানি না হলেও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। ব্যবসায়ীদের এ দ্বিচারিতার নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।
নাজের হোসেন আরো বলেন, সরকার ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাজার তদারকি করছেন, টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ীমূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন। কিন্তু বাজার তদারকি যেভাবে হওয়া দরকার বা যে সময়টুকু দেওয়া দরকার, সেভাবে হচ্ছে না। অনেক জায়গায় মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। এজন্য বাজার তদারকির সুফল আসছে না। অন্যদিকে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির বেলায় হাতবদল, আড়তদার, কমিশন এজেন্ট নামে মধ্যস্বত্বভোগীদের তৎপরতা বন্ধ করা না গেলে, কৃষকরা সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করতে না পারলে এবং পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা না গেলে সরকারের এতসব পদক্ষেপেও সুফল পাওয়া কঠিন হবে।
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পন্য সরবরাহ শৃঙ্খলার তথ্য উন্মুক্ত করার দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এখানে শুধু খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর পুলিশিং করে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। এজন্য সাপ্লাই চেইনের যে ডাটা, তা সবার জন্য অবমুক্ত করতে হবে। আমার কোন কোন পণ্য কতটা আমদানি ও উৎপাদন হয়েছে, গুদামে কত আছে- এসব তথ্য সবাইকে জানার সুযোগ করে দিতে হবে। পাশাপাশি পুলিশিংটা যেখানে করা দরকার; যেমন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে, সেখানে করতে হবে।
"