কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪

৭০০ পর্যটক নিয়ে জাহাজ গেল সেন্টমার্টিন

দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর ৭০০ পর্যটককে নিয়ে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে গেল পর্যটকবাহী জাহাজ। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বারো আউলিয়া নামের একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনে যায়। রওনা হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সাধারণত নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ শুরু হয়। সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে চলতি বছর নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় পর্যটকদের বিভিন্ন নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে। দ্বীপে পলিথিন ও প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের একটি ট্রাভেল পাস নিতে হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ভ্রমণ পাসের জন্য অ্যাপ তৈরি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটন জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেন্টমার্টিন রুটের সি-ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসেনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ৯ মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে বারো আউলিয়া জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। জাহাজটি বিকেল ৪টায় সেন্টমার্টিনে পৌঁছে জাহাজটি।

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে বর্তমানে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি নেই। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। এর আগে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৬ মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন এবং কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন সমুদ্ররুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি ছিল। বাকি ৬ মাস উত্তাল সমুদ্রের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে চরম পরিবেশদূষণের কারণে সম্প্রতি দ্বীপটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বছর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রতি রাতের জন্য ২ হাজার পর্যটককে দ্বীপে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close