ক্রীড়া প্রতিবেদক
আফগানদের হারিয়ে বাংলার যুবাদের শুভ সূচনা
যুব এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। আরেকটি আসরে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথম ম্যাচেই তারা আফগানিস্তানকে ৪৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের করা ২২৮ রানের জবাবে ১৯৩ রানে অল আউট হয়েছে আফগানরা। দুই পেসার আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমনের পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। দুজনেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার মারুফ মৃধা। একটি উইকেট গেছে রাফি উজ্জামানের ঝুলিতে।
আফগানিস্তান মাঝারি লক্ষে খেলতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়েছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন খান আহমাদজাই। এ ছাড়া ৩৪ রান করে ফিরেছেন খান মারুফখিল। দলটির আর কোনো ক্রিকেটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। এর আগে এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিব তামিম। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
এই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন সিদ্দিকি আলিন। তবে আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের আর বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি। এই ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল আফগানিস্তান। মাত্র ৩ রানে ওপেনার জাওয়াদ আকবরের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে ১৪২ রান যোগ করেন সিদ্দিকি ও অধিনায়ক তামিম। তাদের জুটিতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশের যুবারা। সিদ্দিকি ৬৬ রান করে আউট হলে শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদের আসা যাওয়া।
১ ছক্কা আর ৫টি চারে শেষ হয় সিদ্দিকির ইনিংস। এরপর প্রায় এক প্রান্ত আগলে রেখেই খেলেছেন তামিম। তিনি ১৩৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন। নিচের দিকের কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। আফগানিস্তানের বোলারদের প্রায় প্রত্যেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। আবদুল আজিজ ও নসরতউল্লাহ নুরিস্তানি ও খাতির স্টেনিজাই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ গাজানফার ও খান মারুফখিল। এই ম্যাচে বিশেষ করে নজর ছিল জাতীয় দলের স্পিনার গাজানফারের দিকে। তাকে বেশ ভালই সামলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
"