প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
ইসলামাবাদে সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ৬
ইমরান খানের মুক্তি দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারামুক্তি দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পুলিশের সঙ্গে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। সমাবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনীর স্থাপিত বেষ্টনী ভেঙে রাজধানীর ঘোষিত সমাবেশস্থল ডি-চকে ঢুকে পড়েছেন ইমরান সমর্থকরা। সরকারের গুলি চালানোর হুঁশিয়ারিও উপেক্ষা করেন তারা। খবর বিবিসি, আলজাজিরা, ডন ও জিওটিভির।
এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিন বছরের জন্য তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা করা হয়েছে। তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে। বেশিরভাগ মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসন বলেছে, শুধু আদালতই ইমরান খানের মুক্তির আদেশ দিতে পারে। ইমরানের মুক্তি দাবি ও শাহবাজ শরিফ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে গণযাত্রা ও ডি-চকে সমাবেশ ঘোষণা করে তার দল পিটিআই। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি এ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে রেড জোনের দিকে অগ্রসর হতে বলেছেন এবং ইমরানকে মুক্তি না দিলে অন্য কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে গত বৃহস্পতিবার আদালত রাজধানীতে সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। সমাবেশ প- করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগেই রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। বিক্ষোভ বিঘ্নিত করতে ৪ হাজারের বেশি ইমরান সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেশের কিছু অংশে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ। তা সত্ত্বেও গতকাল রাজধানীর ডি-চকে ঢুকে পড়ে পিটিআই সমর্থকরা। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। পিটিআই কর্মীদের একটি গাড়ি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চাপা দিলে চার নিরাপত্তাকর্মী এবং এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। পৃথক আরেকটি ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভে অনেক মানুষ আহত এবং কিছু সাংবাদিকও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এক ভিডিওগ্রাফারের ওপর ইমরান সমর্থকদের হামলা এবং ক্যামেরা ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া গেছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ হামলার নিন্দা জানিয়ে ‘অরাজক দল’ কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ করে হামলার অভিযোগ করেছেন। মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিক্ষোভকারীরা যদি অস্ত্র ব্যবহার করে, তবে নিরাপত্তা বাহিনীও গুলি চালাবে। গুলির জবাব গুলিতেই দেওয়া হবে।
"