নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

ঢাকায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা ও ভাঙচুর করেছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গত রবিবার ‘সুপার সানডে’তে সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং কবি নজরুল কলেজে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ শিক্ষার্থীদের হামলার জেরে গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যাত্রাবাড়ী এলাকা। যান চলাচল বন্ধ হয়ে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের আজ মঙ্গলবারের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের সংঘাতের পেছনে কোনো ধরনের ইন্ধন থাকলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল এ কথা বলেন।

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, তাদের কলেজে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এরপর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। লুট করা হয়েছে কলেজের টাকা-পয়সাও।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হন। সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হয়ে সাত কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হন। এর আগে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজ ক্যাম্পাসে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচির ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকাল থেকে ধীরে ধীরে কবি নজরুল সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী ওই কলেজে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় রাস্তার বিপরীত পাশে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান করেন।

সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল (গত রবিবার) ডিএমআরসির নেতৃত্বে ঢাকার বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য মাইকিং করে বলেন, ‘তোমরা শান্ত হও, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। গতকাল (গত রবিবার) সন্ত্রাসীরা কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগের দিনের হামলার জের ধরে গতকাল সোমবার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালানো হয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী বিজয় আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (গত রবিবার) মাহবুবুর রহমান কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আমরা এর প্রতিশোধ নিতে এসেছি। মোল্লা কলেজে ঢুকে যা পেয়েছি, তা নিয়ে এসেছি।’ ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যকে দেখা গেছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

সরকারি সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিত : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের আজ মঙ্গলবারের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০২৩ সালের চতুর্থ বর্ষের স্নাতক পরীক্ষার সময়সূচি থেকে মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। স্থগিত করা পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগির ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া পূর্বঘোষিত সময়সূচির অন্যান্য পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকবে।

গত রবিবার ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ ক্যাম্পাসে হামলায় অবকাঠামোগত বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর এ কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে যে ক্ষতি হয়েছে সেখানে ক্লাস করারও পরিস্থিতি নেই। সব কলেজে একই পরীক্ষা। একটি কলেজে পরীক্ষা না নেওয়া গেলে সাতটি কলেজের পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হবে।

‘শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ইন্ধন আছে কিনা খতিয়ে দেখছে সরকার’: শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের সংঘাতের পেছনে কোনো ধরনের ইন্ধন থাকলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। রাজধানীতে কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল সোমবার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে, সরকার তার প্রতি নজর রাখছে। আমরা ছাত্রছাত্রীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, এ ধরনের সংঘাতের পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি-না আমরা খতিয়ে দেখছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের অন্য যেকোনো অঙ্গনে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির যে কোনো চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গতকাল সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল রাতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে ভুল চিকিৎসায় অভিজিৎ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগের জেরে গত রবিবার পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা : ভাঙচুর ও গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের অজ্ঞাত আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। গত রবিবার সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গতকাল সোমবার মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত তা গ্রহণ করেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৭/৮ হাজার শিক্ষার্থী বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। সরকারি অস্ত্রের (পিস্তল) গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এতে আরো বলা হয়, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি প্রদান এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে। এছাড়া পুলিশের আর্মড পুলিশ কার (এপিসি) ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নিহত না, শতাধিক শিক্ষার্থী-শিক্ষক আহত মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই হামলা, লুটপাটের ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তারা।

গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ গভীর শোক ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, আজ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য কলেজের ছাত্র, বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে কলেজ ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, এ হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ এতে বলা হয়, ‘হামলাকারীদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী নয় বরং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গ।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘হামলাকারীরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, সম্পদ ও শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট, ব্যক্তিগত মালামাল লুট করেছে। এ ছাড়া কলেজ ভবনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি একই ভবনে অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ বার বার প্রশাসনের স্থানীয় ও সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতার আবেদন করলেও এ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে’, বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে

এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি দাবি তুলে ধরে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ কর্তৃপক্ষ। দাবিগুলো হলো-

১. হামলার প্রকৃত দোষীদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান।

২. শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার।

৩. লুটকৃত সম্পদ উদ্ধার ও ক্ষতিগ্রস্ত নথি পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।

এর আগে গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম-পরিচয় উল্লেখ করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ গভীর শোক ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, আজ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। তথাকথিত সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ হামলায় তিনজন শিক্ষার্থী নির্মমভাবে প্রাণ হারায় এবং শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close