নিজস্ব প্রতিবেদক
জ্বালানি খাতে গত ১৫ বছরের চুক্তি খতিয়ে দেখবে সরকার
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে স্বাক্ষরিত বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি পর্যালোচনার জন্য আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। এ সময় আওয়ামী লীগের শাসন আমলে এই খাতে করা দেশি-বিদেশি চুক্তিগুলো ত্রুটি ও বিচ্যুতি এবং দুর্নীতিগুলো খতিয়ে দেখবে সরকার। গতকাল রবিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি রেজল্যুশনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ সুপারিশ করেন।
একই দিন দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ‘চিফ অ্যাডভাইজার (জিওবি)’তে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি অন্য চুক্তিগুলো বিশ্লেষণ করার জন্য আরো সময়ের প্রয়োজন। এ ছাড়া পর্যালোচনা কমিটি এমন প্রমাণ সংগ্রহ করছে, যা আন্তর্জাতিক সালিশি আইন এবং কার্যধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তি পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করতে পারে।
পোস্টে আরো বলা হয়, এ তদন্তগুলো আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সালিশে গ্রহণযোগ্য করতে একাধিক আন্তর্জাতিক আইন এবং তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে যুক্ত করার সুপারিশ করেছে। পর্যালোচনা কমিটি বর্তমানে বেশ কিছু চুক্তির বিস্তারিত তদন্তে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে- ১. আদানি (গোড্ডা) বিআইএফপিসিএল ১২৩৪ দশমিক ৪ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২. পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ৩. মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৪. আশুগঞ্জে ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৫. বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৬. মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র। ৭. মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস-এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
"