নিজস্ব প্রতিবেদক
বিগত কমিশনকে বিচারের আওতায় আনতে ঐকমত্য
বদিউল আলম মজুমদার
সবাই বিগত নির্বাচন কমিশনকে বিচারের আওতায় আনার কথা বলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচন কমিশনগুলো বিতর্কিত ও কলঙ্কজনক নির্বাচন করে শপথভঙ্গ করেছে। তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলছে প্রায় সবাই। গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আজকের আলোচনাটা ভিন্ন ছিল। তারা অনেক অভিজ্ঞ, এসব বিষয়ে গভীর জ্ঞান আছে। তাদের সঙ্গে আমরা সত্যিকার অর্থে একটা ডায়ালগ করেছি। আমরা তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি। আজকের আলোচনা থেকে যেটা সুস্পষ্ট হলো যে, সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষ করে আর্থিক স্বাধীনতা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘না’ ভোটের বিধানের ব্যাপারে সবাই একমত। রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রের ব্যাপারেও তারা একমত। রাজনৈতিক দলের মধ্যে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয়, তাহলে রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, এটা আশা করা যায় না। সংস্কার কমিশনপ্রধান বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। সরাসরি নির্বাচনের ব্যাপারে অনেকে বলেছেন এবং রাষ্ট্রপতি পদকে আরো শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। নারীদের সরাসরি নির্বাচন, তাদের নির্বাচনী এলাকা থাকতে হবে এবং প্রত্যক্ষ নির্বাচন করার পক্ষে সবাই মতামত দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের আইন পরিবর্তন করতে হবে। মূলত এসব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।
"