নিজস্ব প্রতিবেদক
যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতা হত্যা
৪ পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
জুলাই-আগস্টে যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো ‘গণহত্যা’ মামলায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ট্রাইব্যুনাল থেকে।
চার পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেনের নাম প্রকাশ করলেও বাকিদের নাম জানাননি ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের স্বার্থে বাকি তিনজনের নাম প্রকাশ না করতে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ রয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।
পরোয়ানা জারির আদেশের পর তাজুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল যে একজন তরুণকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যখন তার সহকর্মী নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সে স্বাভাবিক অবস্থায় বেঁচেছিল। তার পায়ে আঘাত ছিল সামান্য। সেই ছেলেটিকে কাছে গিয়ে বুকে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করেন এবং লাশটিও নানাভাবে বিকৃত করেন। তিনি হচ্ছেন যাত্রাবাড়ী থানার তদানীন্তন ওসি জাকির হোসেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, চারজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছিলাম; আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। এ চারজনের মধ্যে একজনের নাম প্রকাশ করছি। তিনি হলেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন। অপর তিনজনও যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত ছিলেন এবং এই ‘নৃশংসতায় জড়িত’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেন প্রধান কৌঁসুলি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, হয়রানির শিকার হতে পারেন ভেবে পুলিশ সদস্যরা নানাভাবে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করছেন। আগেও বলেছি, আবারও বলছি কোনো নির্দোষ পুলিশ কর্মকর্তাকে হয়রানি করা হবে না। তবে যাদের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যাবে, তারা কেউ ছাড় পাবেন না।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনে ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
"