নিজস্ব প্রতিবেদক
গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীরা বড় ভূমিকা রেখেছেন
প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ একটি লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন। এ সময় ড. ইউনূস বলেছেন, ‘আমাদের প্রবাসী কর্মীরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তারা বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমরা তাদের কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ।’ প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এই লাউঞ্জ তাদের (প্রবাসী শ্রমিকদের) ভ্রমণকে সহজ করবে।’
গতকাল সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধনের সময় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য এটিই প্রথম লাউঞ্জ। এখানে প্রবাসী শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য জায়গা থাকবে এবং সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে। খাবার পরিবেশনের জন্য ভর্তুকি দেবে সরকার। অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টাও। এ সময় আসিফ নজরুল জন্মভূমির জন্য আত্মত্যাগ করা প্রবাসী শ্রমিক ও কোটি প্রবাসীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আইওএম মিশনের ডেপুটি চিফ ফাতিমা নুসরাত জানান, বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তা করতে জাতিসংঘ লাউঞ্জটিকে স্পনসর করেছে। তিনি বলেন, ‘এটি প্রধান উপদেষ্টার একটি উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগকে সমর্থন করতে পেরে আনন্দিত।’ ফাতিমা নুসরাত জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের সহায়তা করার জন্য প্রায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবককে স্পনসর করেছে আইওএম। বাংলাদেশে আইওএম মিশনের ডেপুটি চিফ ফাতিমা নুসরাথ বলেন, জাতিসংঘের সংস্থা বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য লাউঞ্জটিকে স্পনসর করেছে। তিনি বলেন, এটি প্রধান উপদেষ্টার একটি উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগকে সমর্থন করতে পেরে আনন্দিত। এ ছাড়া বিমানবন্দরে অভিবাসীদের সাহায্য করার জন্য আইওএম প্রায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবককে স্পনসর করছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের অভিবাসী শ্রমিকরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তারা বড় ভূমিকা পালন করেছিল। আমরা তাদের কাছে সব সময় কৃতজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টার তিন বিশেষ সহকারী নিয়োগ : প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজনকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে তাদের তিনজনকে তিনটি মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। তিনজন বিশেষ সহকারী হলেন- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খোদা বকশ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক সায়েদুর রহমান এবং অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত রবিবার রাতে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা খোদা বকশ চৌধুরী, ড. সায়েদুর রহমান ও অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলামকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগদান করেছেন। রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, উপদেষ্টাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য খোদা বকশ চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সায়েদুর রহমানকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং আমিনুল ইসলামকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। খোদা বকশ চৌধুরী ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন। চিকিৎসক ড. সায়েদুর রহমান গত ২৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক।
অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তিনি ২০০২ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০০৬ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।
"