নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
জটিলতা কাটিয়ে শুরু হচ্ছে নির্মাণকাজ
সিঙ্গাপুর আরবিট্রেশন সেন্টারে সালিশি মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বন্ধ থাকা বাকি কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে। এই দায়িত্ব পেয়েছে দুই চীনা কোম্পানি। আগামী নভেম্বর থেকে মাসের মধ্যেই প্রকল্পটির তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী অংশের নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রকল্পটির পরিচালক এ এইচ এম শাখাওয়াত আক্তার।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি গত সোমবার সিঙ্গাপুরের আদালত খারিজ করে দিয়েছে। ফলে এখন চীনা দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে ইটাল থাইয়ের শেয়ার হস্তান্তরে বাধা নেই।
এদিকে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের প্রকল্পটির ২৭ ভাগ সরকারের মালিকানায় রয়েছে। নির্মাণে বিলম্বের কারণে একদিকে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে জনস্বার্থ ব্যাহত হচ্ছে।
এ এইচ এম শাখাওয়াত আক্তার আরো বলেন, সুদ পরিশোধ না করায় এক্সিম ব্যাংক ঋণ দেওয়া বন্ধ রেখেছিল। এখন রায় চায়নার পক্ষে আসায় তারা সুদের টাকা পরিশোধ করবে। ফলে ব্যাংক যথারীতি ঋণ দেবে। বর্তমানে এখানে ব্যাংকের জটিলতা নেই। দ্রুত তারা কাজ শুরু করবে। ২০২৫ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ হওয়ার কথা রয়েছে। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এই প্রকল্প।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে বর্তমানে প্রতিদিন দ্বিগুণেরও বেশি যানবাহন এই সড়কটি ব্যবহার করছে। ফলে সড়কের যানজটের ভোগান্তি কমাতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখছে।
"