নিজস্ব প্রতিবেদক
‘ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ব্যবহার করেনি র্যাব’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব কখনোই প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি বলে দাবি করেছেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। তিনি বলেন, র্যাব ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।
গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভুক্ত আসামি। র্যাবের মধ্যে এমন কেউ আসামি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি। র্যাবে আট বাহিনী থেকে সদস্য আসে। ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ ভাগ পুলিশ বাহিনী থেকে এসেছে। র্যাবে কোনো সমস্যা ছিল না। ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব কখনোই মারণাস্ত্রের গুলি ব্যবহার করেনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে র্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে মুনীম ফেরদৌস বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ আগস্টের পরে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর মধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ জন রয়েছেন। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
র্যাব নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। র্যাবের কাছে কেউ যদি কোনো তথ্য পায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। র্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে। ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ডিবির হারুনের মতো বিতর্কিতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের বিষয় র্যাবে কাজ চলছে। তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।
"