চট্টগ্রাম ব্যুরো
ডা. শাহাদাতকে চসিক মেয়র ঘোষণা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) মেয়র হিসেবে রায় পেলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। চসিক নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল বাতিল চেয়ে করা মামলায় এ রায় দিয়েছেন আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ রায় দেন।
রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ডা. শাহাদাত বলেন, এ রায়ে আমি অত্যন্ত খুশি। এ রায়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী ১৮ কোটি মানুষ খুশি হয়েছে। চট্টগ্রামের যে ২০ লাখ মানুষ সেদিন ভোট দিতে পারেনি, তারাও আজকে খুশি হয়েছে। তারা মনে করছেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডা. শাহাদাত বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসনে রাষ্ট্রের সব যন্ত্রকে আওয়ামী যন্ত্রে রূপান্তরিত করে দেশে তারা ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছে। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে তারা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জালিয়াতি করে ইভিএম রেজাল্ট পাল্টে দিয়ে জালিয়াতি করে অবৈধভাবে রেজাউল করিমকে মেয়র ঘোষণা করেছিল।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে রেজাউল করিমকে মেয়র হিসেবে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত নির্বাচন কমিশন সচিবকে বলেছেন, ১০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আমাকে বহাল করে ডিক্লেয়ারেশন দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি আরেকটি ডিক্লেয়ারেশন দিয়েছেন, আমি যে বৈধ মেয়র- আমাকে জালিয়াতি করে হারানো হয়েছে। চট্টগ্রামে চসিক নির্বাচন হয় গত ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ওই সময় ভোটের ফল জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এরপর ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত।
মামলা চলাকালে রেজাউল করিম মেয়র পদে বসেন । এরই মধ্যে চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে গা-ঢাকা দেন চসিক মেয়র রেজাউলও। পরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে গত ১৯ আগস্ট রেজাউলকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। তারপর থেকেই চসিকে প্রশাসক নিযুক্ত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। রায়ের বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চসিক নির্বাচনে কারচুপি হওয়ায় ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত। মামলায় শেষ পর্যন্ত তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিলেন আদালত।
"