একটি “০” (শূন্য) এর মূল্য ৭২ কোটি টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ আসন (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের ক্ষেত্রে। মূল বিষয়টি হচ্ছে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ আসন (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম তার দাখিলকৃত হলফনামায় সরবরাহকৃত তথ্যের এক জায়গায় তার কাছে বিদ্যমান ৮ কোটি টাকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ক্রয়কৃত বন্ড ঘোষণা করতে গিয়ে ভুলবশত টাইপিস্ট একটি শূন্য বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে ৮ কোটি টাকার স্থলে ৮০ কোটি টাকা হয়ে যায়। ফলে তার ২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় দাখিলকৃত সম্পদের তুলনায় ২০২৪ সালের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রকাশিত হওয়ায় এবং এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি দাখিলকৃত তথ্যগুলো পুনঃপর্যালোচনা করে দেখতে পান, ৮ কোটির স্থলে একটি শূন্য বেশি হওয়ায়, ৮০ কোটি হয়ে গেছে। যার ফলে এই ক্ষেত্রে ৭২ কোটি টাকা বেশি হয়ে হয়ে যায়।

এই ৭২ কোটি টাকা তাহার মোট সম্পদ থেকে বাদ দিলে, ২০২৪ সালের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ টাকা। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলটি সংশোধনের জন্য তিনি একটি নোটারি করে সংশোধিত হলফনামা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। যা পর্যালোচনা করে আরো দেখা যায়, বাৎসরিক সম্পদের গড় বৃদ্ধির হার প্রায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য কেউ যদি বৎসর মেয়াদে ব্যাংকে টাকা আমানত রাখেন, তাহলে বাৎসরিক বৃদ্ধির হার প্রায় ৭-৮ শতাংশ হবে।

"