কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নইম উদ্দিন সেন্টুকে (৬০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে তার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি চালানো হয়। নিহত নইম উদ্দিন সেন্টু ফিলিপনগর বাজারপাড়া এলাকার মুতালিব সর্দারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্যদিনের মতো গতকাল সকালে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে যান চেয়ারম্যান নইম উদ্দিন সেন্টু। পরে তিনি নিজ কার্যালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন গ্রাম পুলিশ এবং দুজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আকস্মিকভাবেই তার কক্ষের জানালা দিয়ে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে নিজ কার্যালয়েই মারা যান চেয়ারম্যান সেন্টু।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এলাকায় চেয়ারম্যানের কারো সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। তবে সরকার পতনের পর স্থানীয় একটি পক্ষ চেয়ারম্যানকে হুমকি দিয়ে আসছিল। তার বাড়িতে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা ছিল সেসব কারা খুলে নিয়ে গেছে।
একাধিক ইউপি সদস্য জানিয়েছেন, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এক সময় বিএনপির নেতা ছিলেন চেয়ারম্যান সেন্টু। তিনি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। তবে গত নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান তার নিজের কার্যালয়ে কাজ করছিলেন। দুর্বৃত্তরা ইউনিয়ন পরিষদের জানালা দিয়ে তাকে গুলি করেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) আবদুল খালেক জানান, আমরা এসে দেখি মরদেহ অফিস রুমে রাখা আছে। উনি চেয়ারে বসা ছিলেন। কে বা কারা এসে পেছনের জানালা দিয়ে গুলি করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা যুক্ত, তা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। হত্যাকারীদের দ্রুতই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এদিকে, চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসীর বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন লাগিয়ে দেয়। গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি নিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
"