নিজস্ব প্রতিবেদক ও টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আশুলিয়ায় ৭৯ কারখানা বন্ধ টঙ্গীতে শ্রমিক বিক্ষোভ

দাবি-দাওয়া নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গতকাল সোমবার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ৭৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। আশুলিয়া শিল্পপুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার সারোয়ার বলেন, শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো সড়ক অবরোধসহ কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ কারখানায়ই উৎপাদন স্বাভাবিক আছে। তবে আগে থেকেই কিছু কারখানায় অভ্যন্তরীণ বেশকিছু দাবি দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল, সেসব কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফেরেনি। তাই ওইসব কারখানা কর্তৃপক্ষ আজকের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। ওইসব কারখানার আশপাশে থাকা বেশকিছু কারখানা কর্তৃপক্ষ হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় তারাও তাদের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে ৭৯টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল চলছে। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলসহ শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেছেন শিল্প পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা। এদিকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জামগড়া এলাকায় ইউফোরিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের কারখানা ভাঙচুরের সময় সেনাবাহিনী ও র‌্যাব সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা র‌্যাবের একটি গাড়িতে আগুন ও সেনাসদস্যদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ওই স্থান থেকে একজনে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

টঙ্গীতে শ্রমিক বিক্ষোভ : গাজীপুর টঙ্গীতে সঠিক সময়ে বেতন প্রদান ও ১৩ দফা দাবি নিয়ে একটি কারখানার শ্রমিকদের দ্বিতীয় দিনও বিক্ষোভ চলছে। গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ লিমিটেডের দুটি কারখানার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে টঙ্গী পূর্ব থানার পেছনে কেবিএম রোড দখল করে অবস্থান এবং মিছিলও করেন তারা। আন্দোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী গিয়ে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করে।

শ্রমিকরা জানান, দুটি কারখানায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাদের দাবি, কর্মচারীদের বেতন প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে দিতে হবে। বেতন ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। চাকরি ছাড়ার ১৫ দিনের মধ্যে সার্ভিস বিল দিতে হবে। ৬ মাস চাকরির মেয়াদ হলেও ঈদ বোনাস দিতে হবে। আন্দোলনরত শ্রমিক আমেনা বেগম বলেন, আমার কর্মবিরতি করে কারখানার সামনে বসে আছি। আমাদের ১৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করব না। কারখনার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি। গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close