গাজীপুর ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

যৌথবাহিনীর অভিযানে গাজীপুর ও সাভারে আটক ১৫

পোশাক কারখানায় হামলা-ভাঙচুর

সাভারের আশুলিয়ায় গত কয়েকদিনের শ্রমিক বিক্ষোভ, কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ও গতকাল শুক্রবার যৌথবাহিনীর পরিচালিত অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে নগরের কোনাবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযানে আটক হন তিনি। গাজীপুরে আটক ব্যক্তির নাম মো. মনিরুজ্জামান (৪৬)। তিনি গাজীপুর নগরের দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় একজন নিরাপত্তাকর্মী।

আশুলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, গত কয়েকদিনের মতো বৃহস্পতিবারও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভে বহিরাগত, ছাঁটাই করা ও বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই অংশ নেন। তারা বেশ কয়েকটি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এছাড়া হামলায় আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতের বিভিন্ন সময়ে শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা তৈরিতে ইন্ধনদাতা ও জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সন্দেহভাজন ১৪ জনকে আটক করা হয়। তাৎক্ষণিক তাদের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ বলেন, আশুলিয়ায় বিভিন্ন কারখানায় হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে গাজীপুর শিল্প এলাকা টঙ্গী, কোনাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় পোশাক তৈরি কারখানায় বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। হঠাৎ করে শিল্পকারখানায় অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় কলকারখানার মালিক ও সংগঠনের নেতারা মনে করছেন এতে তৃতীয় পক্ষের উসকানি আছে। এ অস্থিরতা বন্ধ করতে গত সোমবার থেকে গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে কোনাবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় বিসিকের নিরাপত্তাকর্মী মনিরুজ্জামানকে আটক করা হয়।

কোনাবাড়ী থানার ওসি শাহ আলম বলেন, ‘মনিরুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে বিসিক শিল্প এলাকার নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তিনি সেখানে থেকে কারো ইন্ধনে শ্রমিকদের নানাভাবে উসকানি দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করাচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close