নিজস্ব প্রতিবেদক
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
সাবেক দুই আইজিপি শহীদুল ও মামুন রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে দুই ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুন। মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তারের পর গতকাল বুধবার সকালে দুজনকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শহীদুল হককে ৭ দিনের এবং আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর আগে মঙ্গলবার রাতে শহীদুল হককে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে আবদুল্লাহ আল মামুন ছিলেন সেনা হেফাজতে ছিলেন। আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মুদি দোকানদার আবু সায়েদ। তাকে হত্যার অভিযোগে মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় নিহত হয়েছেন ব্যবসায়ী ওয়াদুদ। এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে।
শহিদুল হক ২০১৪ সালে আইজিপির দায়িত্ব নিয়ে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে গিয়েছেন। অন্যদিকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আইজিপি নিযুক্ত হন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। গ্রেপ্তারের পর প্রথমে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় দুজনকে। পরে গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ৭টায় রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে তোলা হয়।
আদালতে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি পুলিশ প্রধান থাকতে কোনো মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করিনি। পুলিশকে জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। আমি যতদিন চাকরি করেছি মানুষের সেবা করেছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটাই সত্য নয়। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
অপরদিকে আদালতে কোনো কথা বলেননি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। আদালতের এজলাস কক্ষের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন তিনি। এসময় পুলিশের হেলমেট পরিধেয় অবস্থায় তাকে দেখা যায়।
রিমান্ড আদেশ শেষে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ডিবির একটি গাড়িতে করে সাবেক দুই আইজিপিকে সিএমএম আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দীপু মনির পর এ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাতকড়া পরানো হয়নি।
"