নিজস্ব প্রতিবেদক
উপদেষ্টাদের তৎপরতা
বিডিআর হত্যার পুনঃতদন্ত শিগগিরই
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে। বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি গতকাল সোমবার সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। তাই সঠিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগির শুরু করা হবে।’ তিনি জানান, সাক্ষাৎকালে দু’দেশের মধ্যে মানব পাচার প্রতিরোধ, কৃষি পুনর্বাসন ও বিমা, পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন ও সংস্কার, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সুইস রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রয়োজনীয় বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বন্যা-পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার ও চ্যালেঞ্জ। তিনি এ সময় কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার সুউচ্চ ও সমুন্নত রাখতে সুইজারল্যান্ডের সহায়তা চান।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি মানব পাচার প্রতিরোধকল্পে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধি, বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষকদের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিসহ কৃষিতে বিমা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। এ কারণে বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানে কৃষকের নিকট গ্রহণযোগ্য ও উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
রেতো রেংগলি বলেন, পুলিশ সংস্কার ও পুনর্গঠনে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে সুইজারল্যান্ড সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দেন। বৈঠকে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিবিষয়ক কাউন্সিলর আলবার্টো জিওভেনেটিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
"