নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্পদের হিসাব না দিলে শাস্তি পেতে হবে
- জনপ্রশাসন সচিব
সরকারের সর্বস্তরের কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। যারা দেবেন না, তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। তিনি বলেন, এতদিন তো অনেক কথা শুনেছেন- জিরো টলারেন্স, হাতি-ঘোড়া। এসব শুনে লাভ নেই, আমি বলতেও চাই না। যেখানে যেটা করার আমরা করতে পিছপা হব না। গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কীভাবে হিসাব দিতে হবে, তা নির্ধারণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সম্পদের হিসাব দিলে দুর্নীতি কমে আসবে। সম্পদের হিসাব বছরে একবার দিতে হবে। মোখলেস উর রহমান বলেন, সম্পদের হিসাব জমা না দিলে কী হবে, সেটা আমরা অবশ্যই বলে দেব- দণ্ডটা কী হবে, তার বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পদের হিসাব জমা না দিলে খবর আছে, সোজা কথা। আইনানুগ খবর আছে। খবরটা কী সেটা যখন চিঠি (ফরম) দেব, তখন বলে দেব।
প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন জানিয়ে সচিব বলেন, আগে আমরা মনে করতাম, শুধু কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে, যারা কর দেন। কিন্তু দেখা গেছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, পিয়ন অথবা ড্রাইভার ৪০০ কোটি টাকার মালিক- এরকমও তো পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য আধুনিক পদ্ধতিতে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে পারে। সেজন্যই কাজটা শুরু করেছি। কিন্তু প্রশ্ন হলো- কবে, কে, কোথায় কীভাবে এ হিসাব দেবে? এজন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে এনবিআরের একজন প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগের একজন প্রতিনিধি, কম্পোটলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের একজন প্রতিনিধি রয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কমিটির সদস্য সচিব থাকবেন- বলেন তিনি।
এ কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি ফরমেট তৈরি করবে জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ফরমটি হবে বাংলায়। এটি এক পাতার মধ্যে থাকবে। স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পত্তি- এভাবে ফরমে থাকবে। এরপর আমরা বলে দেব সব মন্ত্রণালয় এবং বিভাগে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে সম্পদের হিসাব জমা দেবে। মূলত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এটি ফাংশনাল হবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা ফরমগুলো অফিস অফিসে পৌঁছে দেব। আমরা তখন বলে দেব, কোন তারিখের মধ্যে হিসাব দাখিল করতে হবে। এ উদ্যোগ (সম্পদের হিসাব) নেওয়ার কারণে এরই মধ্যে অনেকের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, এতদিন দেওয়া লাগেনি কিংবা নামে একটা দিতাম খবর নেই। এবার এটা কাজ করবে। দুদক যেহেতু এটা অফিসিয়ালি হ্যান্ডল করে, তারা এটা বিবেচনা করবে যে কার সম্পদ বিবরণীর জন্য কাকে তলব করতে হবে।
"