নিজস্ব প্রতিবেদক
উপদেষ্টাদের তৎপরতা
আ.লীগকে বলব দল পুনর্গঠন করুন
- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগকে দল পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, আপনারা আপনাদের পার্টি রি-অর্গানাইজ করেন। এই পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। গতকাল সোমবার সকালে ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত আনসার সদস্যদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, লোক জড়ো করেন আর যাই করেন, এমন কিছু করবেন না- যাতে আপনাদের জীবন বিপন্ন হয়। এদেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি, আপনারা আপনাদের পার্টি রি-অর্গানাইজ করেন। এই পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। পার্টিকে রি-অর্গানাইজ করেন, পলিটিক্যাল পার্টির মতো যেভাবে থাকে। ইলেকশন আসলে ইলেকশন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ স্বপ্নটা যদি আপনারা দেখেন, তাহলে কী করবেন আপনারা এই দেশটা আরেকজনের হাতে তুলে দেবেন না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা জানি, কে কোথায় আছে। কিন্তু ওটা না করে আপনারা বরং পার্টিকে, এটা অনেক বড় পার্টি। অ্যান্ড আই হ্যাভ লট অব রেসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। একসময় আমাদের মতো বাঙালিদের তাদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি। বাংলাদেশে ৫২-এর আন্দোলন, ৬৯-এর গণআন্দোলন, স্বাধীনতা- এটা পারসোনাল কোনো কারণে নষ্ট করবেন না। এটা জাতীয় সম্পদ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা আসুন যারা রেগুলার (রাজনীতি) করতে চান। এখানে মারামারি করে কোনো লাভ নেই। আরো কিছু লোকের মৃত্যু আমরা চাই না। অলরেডি ৪০০ থেকে ৫০০ হয়তো তারও বেশি মারা গেছে। উভয় পক্ষেই। পুলিশেরও একই অবস্থা হয়েছে, আনসারেরও এ অবস্থা হয়েছে। আমরা যদি উসকানি দিতাম, তাহলে আপনারা টিকতে পারতেন না, আর্মি ফায়ারে। আমরা আর্মিকে মানা করেছি যে ডোন্ট ওপেন ফায়ার। কারণ কাকে মারবেন আপনি? এ পুলিশকে দিয়ে কাকে মারিয়েছেন? পুলিশকে দিয়ে মারিয়েছেন আপনার সন্তানকে।
একটা পুলিশের সদস্য কী বললেন, স্যার কয়টা গুলি লাগে একটা ছেলেকে ...তার ছেলের লাশ। এটা করবেন না। অনুরোধ করছি প্ররোচনায় আইসেন না। ব্যক্তিগত স্বার্থে আপনারা এত বড় একটা দলকে নষ্ট করবেন না। এটা আমাদের প্রাইড ছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এটা নষ্ট করবেন না। এটা আপনার নষ্ট করার কোনো অধিকার নেই। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি। এই যদি স্বপ্ন কেউ মনে করে যে এটা করে আবার কাউন্টার রেভ্যুলেশন করে আসবেন। কাউন্টার রেভ্যুলেশন করতে হলে আপনাকে আবার হাজার হাজার লোকের রক্ত বহাইতে হবে। যদি আপনারা সেই দায়িত্ব নিতে চান তাহলে নেন। আমার কিছু করার নেই।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে সরকার পতন নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যে ইয়াং জেনারেশন তারা এটা করেছে। কোনো পলিটিক্যাল পার্টি করেনি। দে হ্যাভ গিভেন দেয়ার লাইফ (তারা তাদের জীবন দিয়েছে)। যেটা আপনারা কোনোদিন দিতে পারতেন না। বুক পেতে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের গুলি খাওয়ার জন্য। তার মুখে কোনো দুঃখ নাই। দে আর অল স্মাইলিং। এরা যতদিন আছে এরা কোথাও দৌড়াবে না। তারা আপনার মুখোমুখি দাঁড়াবে। একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বলছি দয়া করে দেশটাকে স্বাধীন রাখেন।
"