নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ
মেটার প্ল্যাটফরম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা।
গতকাল রবিবার দুপুর ১টার পর ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলো এ নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গতকাল রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মোবাইল অপারেটরদের ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফোরজি বন্ধ থাকলে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তখন শুধু টুজির মাধ্যমে কথা বলা যায়। দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি। ঘণ্টাখানেক পর দুপুর ১টার দিকে আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলো মেটার ক্যাশ সার্ভার বন্ধের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখনো সচল রয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতের জেরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। আর ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফরম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই দুপুর ২টার পর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হয়।
তবে গত শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফরমগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি এই নেটওয়ার্কে টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়। সেদিন সাড়ে ৫ ঘণ্টার পর তা আবার চালু করা হয়েছিল। সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি কাভারেজ গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দুপুর ১টার দিকে জানিয়েছেন, তারা ফোরজি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।
একটি মোবাইল অপারেটরের সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানায়, কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনে হতাহতের জন্য গত শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে তাদের প্রতিরোধে অবস্থান নিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও।
"