নিজস্ব প্রতিবেদক
মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত শনিবার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
গতকাল মিছিল-স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এদিন সকাল থেকে এখানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা অবস্থান করে মিছিল করেন।
জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে নেতারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয় জড়ো হন। তারা বেশ কয়েকবার মিছিল-স্লোগান দিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ সামনের রাস্তা প্রদক্ষিণ করেন। আশপাশের তাদের মিছিল করতে দেখা যায়।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সহসভাপতি মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা এখানে অবস্থান করেন।
আওয়ামী লীগ নেহতা আবু আহমেদ মান্নাফি বলেন, আমরা এখানে মিছিল-সমাবেশ করেছি। সবাই তাতে অংশ নেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সবাইকে সাহস নিয়ে থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশ আমাদের। এ দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের।
নগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেন, আমরা সকাল ৯টা থেকে এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছি। আমরা এখানেই থাকবো। দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি গ্রুপ মিছিল নিয়ে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের দিক থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে যায়।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফার প্রতিবাদে দিনাজপুরের হিলিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। হাকিমপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে গতকাল দুপুর পৌনে ১টায় হিলির কেন্দ্রীয় কবরস্থান সংলগ্ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি হিলি স্থলবন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক ও বাজার প্রদক্ষিণ শেষে আবারও দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা অভিযোগ করেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে যেসব দাবি ছিল তার সবই মেনে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরও ছাত্রদের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত এক দফার দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের এই স্বপ্ন কোনো দিন বাস্তবায়িত হবে না জানিয়ে তাদের সব ধরনের নৈরাজ্য মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে শান্তি সমাবেশ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়কের বিশ্বরোড নামক স্থানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে পৌর আওয়ামী লীগ। এ সময় দেশব্যাপী সন্ত্রাস প্রতিরোধে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ এমপির নেতৃত্বে শহরের ওয়ালটন মোড়ে এবং নয়াগোলায় শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হলে তা প্রতিরোধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ। এদিকে গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আন্তঃজেলা রুটে বাস ও ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক ছিল। নাশকতা রোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল চলছে।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার মুকসুদপুরে আজ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা সদর চৌরঙ্গী মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও এক দফা দাবির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম শিকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সহসভাপতি শ্যামল কান্তি বোস, সিরাজুল ইসলাম মিয়া, হুজ্জাত হোসেন লিটু মিয়া, জাহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ মিনা , ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামাল, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সরদার মজিবুর রহমান, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক শেখ শাহরিয়ার বিপ্লব প্রমুখ।
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কোটালীপাড়া উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয় চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান দিপু, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাজরা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী খায়রুল রাজ্জাক খসরু, সাধারণ সম্পাদক বাবলু হাজরা প্রমুখ।
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, সহিংসতা প্রতিরোধে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল ওয়াদুদ মোল্লা, জাহেদুল ইসলাম ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান লিখন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসান ইমাম, সাধারণ সম্পাদক মোহন আলী, পৌর যুবলীগের সভাপতি জনি হাসান লাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় বর্তমান কোঠাবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি ও নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবির কর্তৃক হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে সৃষ্টিসহ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু, সাবেক সাংসদ সংরক্ষিত মনিরা সুলতানা মনি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এজাদুল হক পারুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা সুলতানা মুন্নি, আবুল কারাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম পিন্টু, আনিছুর রহমান খান রিপন, নজরুল ইসলাম সরকার, জাকির হোসেন সিবলী, সাদিকুর রহমান তালুকদার, এস এম আকরাম হোসাইন, শিহাব আমিন খান, জেসমিন নাহার রানী, লুৎফর রহমান খান শারফুল, হারুনুর রশিদ, তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু, মুশফিকুর রহমান লিটন, কামরুজ্জামান সরকার বিদ্যুৎ, শামীম আহমেদ, ইব্রাহিম খলিল, কে বি এম আসাদুজ্জামান সানা, মেহেদী হাসান রিফাত, কে বি এম তারেকুজ্জামান মিষ্টি, আহসানুল ইসলাম খান রাফি প্রমুখ।
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, কোটা সংস্কারের নামে চলমান আন্দোলন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস এবং অসহযোগ আন্দোলনের প্রতিবাদে নাটোরের গুরুদাসপুরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভা চত্বর থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি বের হয়।
শোভাযাত্রাটি পৌরসভা চত্বর থেকে বের হয়ে গুরুদাসপুর, চাঁচকৈড় বাজার, কাছিকাটা নয়া বাজার প্রদক্ষিণ শেষে চাঁচকৈড় বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ শোভন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা আক্তার, জেলা পরিষদ সদস্য মেহেদী হাসান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ প্রমুখ।
মনিরামপুর (যশোর) জানান, যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী বলেছেন, বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপিসহ একটি কুচক্রী মহল নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি জোট উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তবে তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই আর বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। দেশের জনগণ তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। গতকাল রবিবার দুপুরে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দেশবিরোধী নৈরাজ্যে ও অসহযোগ আন্দোলনের প্রতিবাদে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পুরাতন দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা জি এম মজিদ, আবুল কালাম আজাদ মিলন, হাসেম আলী, গৌর কুমার ঘোষ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার ঘোষ, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মিল্টন, কাউন্সিলর আদম আলী, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল ইসলাম, দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওযামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল হাসান রকি প্রমুখ।
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আনোয়ারায় উপজেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের আয়োজনে পৃথক মিছিল ও গণজমায়েত কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলার কালাবিবির দিঘির মোড়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর উদ্দিন চৌধুরী ভিপির সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন যুগ্ম সম্পাদক নোয়াব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী রিদুয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছৈয়দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক রিদুয়ানুল হক রহিম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওসমান গণি রাসেল, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শওকত ওসমান প্রমুখ। অপরদিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপির নির্দেশে আনোয়ারা সদরের শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন উপজেলা কৃষক লীগ। উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি শফিউল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক। কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর মিত্রের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বশর, এইচ এম নজরুল ইসলাম, মো. ইয়াছিন হিরু, মঈনুদ্দীন খান পিন্টু, মো. আলী, ফরিদুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, ফরিদ আহমদ শাহ্, দিদারুল আলম টিপু, আজিজুল হক আজিজ, অহিদুল আলম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অনুপম চক্রবর্তী বাবু, মোজাম্মেল হক, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, জিয়া উদ্দিন বাবলু, এম নজরুল ইসলাম, মাহতাব হোসেন জুয়েল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ফারুকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান আসিফ।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গাইবান্ধা-৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বিশাল মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের থানা চারমাথা মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রধান জাকারিয়া ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, পৌরসভার মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামরুল হাসান ফাহিয়ান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. আসাদুজ্জামান হিরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু রুশদ মো. শরিফুল ইসলাম জর্জ, কাউন্সিলর শাহিন আকন্দ প্রমুখ।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী জামায়াত, শিবির ও বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে গতকাল প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শরীয়তপুরের আইনজীবীরা। গতকাল শরীয়তপুর সদরের জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, পিপি অ্যাডভোকেট মির্জা হযরত আলী, অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট আবদুল জব্বার, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট অমিত ঘটক চৌধুরী প্রমুখ।
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি জানান, বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারীদের সব যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার পরও তারা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের যে এক দফা দাবি তুলেছে তার কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। আসলে এখানে কোটা কোনো ইস্যু নয়। তাদের এই উদ্দেশ্য কোনো দিন সফল হবে না। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক শেখ হাসিনার পাশে আছি। গতকাল রবিবার সকালে বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজারে অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাগমারার সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন টিপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম সান্টু। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মাহাবুবুর রহমান, তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বাক্কার মুনছুর মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্রনাথ সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল মৃধা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা বেগম, জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার জাফর আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম, ছাত্রলীগ নেতা মোয়াজেজম হোসেন প্রমুখ।
সন্তানদের ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান আ.লীগের : আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমরা অভিভাবকদের আহ্বান জানাই, এই সন্ত্রাসীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনাদের সন্তানদের ঘরে রাখুন। যারা রাস্তায় আছে, তাদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করছি। ছাত্র সমাজের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। সরকার পতনের যে এক দফা আন্দোলন তা ছাত্র সমাজের নয়।
গতকাল রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, আমরা শেষ কথা বলতে চাই, বিএনপি-জামায়াত, শিবির-জঙ্গি গোষ্ঠীর নির্দেশে, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য ও সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য আমরা দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকার পতনের এক দফা দাবি বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রকারীদের। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের পাড়ায়-মহল্লায় কঠিন প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি, সব হত্যা ও সহিংসতার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন আজ (গতকাল) সকালে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিনা কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কেও রেহাই দেয়নি। তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
"