নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৩ আগস্ট, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর লড়াই ছিল সোনার বাংলা গড়ার

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লড়াই ছিল সোনার বাংলা গড়ার। তিনি বাঙালি জাতিকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাম্য প্রতিষ্ঠা, সর্বোপরি বাঙালি জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। আর এ আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই আপামর বাঙালি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, দেশ স্বাধীন করেছিলেন। মূূলত বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায় বাঙালির অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক, সাংস্কৃতিক; এমনকি সামরিক ব্যবস্থায়ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতেই তার আদর্শিক বিষয়গুলো পরিষ্কার করে উঠে এসেছিল।

মহান স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তার আদর্শের আলোকেই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেন। প্রতিটি খাতভিত্তিক উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। অর্থনীতিতে শিল্প, কৃষিসহ সব উৎপাদনভিত্তিক খাতের উন্নয়নে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। সামাজিক ক্ষেত্রে শিক্ষা খাতে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষায় নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থা গ্রহণে ও নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নিজ নিজ খাতের উন্নয়ন, অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক খাতের উন্নয়নসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু তার আদর্শিক লক্ষ্য বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে মানবিক বোধসম্পন্ন, বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিশীল আধুনিক জাতিতে পরিণত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শে দীক্ষিত করার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছিলেন।

আগস্টের শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ইয়াং হিয়ং সপের বাংলাদেশ সফর ছিল আলোচনায়। তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাসসের খবরে প্রকাশ, তিনি বঙ্গবন্ধুকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। বৈঠকে প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্য ও ঢাকায় উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপস্থিতি ছিলেন। এদিকে ইয়াং হিয়ং সপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার উন্নয়নের প্রশ্নে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে সাধারণ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা ব্যবসা ও কারিগরি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা করেন।

ইয়াং হিয়ং সপ বলেন, ‘একটি বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে তারা নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে পরে প্রতিনিধি বিনিময় হবে।’ জার্মানির সঙ্গে ঋণের একটি বিষয়েও আগস্টের শুরুতেই আলাপ এগোয়। আশুগঞ্জে নির্মাণাধীন দেশের বৃহত্তম সার কারখানার জন্য পশ্চিম জার্মানি বাংলাদেশকে নামমাত্র সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে ৩ কোটি জার্মান মার্ক (১৫ কোটি টাকা) ঋণ দেবে। এ বিষয়ে দুদেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিতও হয়। তথ্যসূত্র : ডেইলি অবজারভার, দৈনিক বাংলা ও ইত্তেফাক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close