নিজস্ব প্রতিবেদক
এ সিদ্ধান্ত ইস্যু পরিবর্তনের অপকৌশল
মির্জা ফখরুল
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে সরকার যে সিদ্ধান্ত (সরকারি জোট ১৪ দল) নিয়েছে এর সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সে ইস্যু পরিবর্তনে অপকৌশল হিসেবে সরকার এটা করছে বলে দাবি বিএনপি মহাসচিবের। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার একটা ইস্যুকে ডাইভার্ট করার জন্য আরেকটা ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। বিএনপির অবস্থান হচ্ছে, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। পাকিস্তান আমলেও কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। স্বৈরাচার সরকাররা এ ধরনের (রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ) সিদ্ধান্ত নেয়, তারা নিয়ে থাকে।’ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে নৈরাজ্য হয়েছে এর জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভেও সরকার পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে ন্যাক্কারজনকভাবে বাধা দিয়েছে এবং হামলা চালিয়ে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে শতাধিক নিরীহ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে।’ দেশে জরুরি অবস্থা জারি না করা সত্ত্বেও সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ না করতে দেওয়া এবং হামলা-গ্রেপ্তার করা সরকারের অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরকারের বর্বরতা বিশদভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট নয়, সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট এবং সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রাজনীতিকে উন্মুক্ত করা, নিষ্ঠুর দমন নিপীড়ন বন্ধ, গ্রেপ্তার নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।’
"