প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ নভেম্বর, ২০২৩

গাজায় নিহত ১২ হাজার

গাজায় ইসরায়েলি নির্বিচার বিমান হামলা চলছেই। এতে প্রতিদিনই মারা পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৮০০ শিশুসহ ৩ হাজার ৭৫০ জন, যারা বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) টানা ৪৩তম দিনের মতো গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ভোরে গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ চালিত আল ফাখোরা স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরো অনেকেই আহত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে স্কুলটিতে কয়েক হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন, হামলার পর হতাহত মানুষ এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সরানোর চেষ্টা করছেন।

গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল থাওয়াবতা।

ইসমাইল থাওয়াবতা বলেন, গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার পতনের কারণে কয়েক দিন ধরে নিহতের সংখ্যা আপডেট করা হয়নি।

তিনি জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১ হাজার ৮০০ শিশুসহ ৩ হাজার ৭৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক মিলিয়ে অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে সিভিল ডিফেন্স দলের ২২ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।

ইসমাইল থাওয়াবতা জানান, ইসরায়েলের হামলায় ৫১ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি, যাদের ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু।

প্রায় ২৫টি হাসপাতাল ও ২৫০ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, কমপক্ষে ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে। ৯৫ হাজারেরও বেশি সরকারি স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে।

ইসমাইল থাওয়াবতা আরো জানান, ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৭টি মসজিদ সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং ১৬৫টি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চার্চ ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে তিনটি।

এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গাজা উপত্যকার পশ্চিমে অবস্থিত হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবারের ওই হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বোমা হামলায় বাড়িটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে ওই বাড়িতে থাকেন না ইসমাইল হানিয়া। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে কাতারে বসবাস করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close