প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকা
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয়ের রেসুবেলপাড়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে এর কম্পন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের গোয়ালপাড়ায়।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১০টি হালকা ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে দেশে। এতে জানমালের তেমন ক্ষতি না হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইলে।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত। এ ছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের কাছাড় এলাকা।
আগস্ট মাসে দুই দফায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি অনুভূত হয় ২৯ আগস্ট। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট। এর আগে ১৪ আগস্ট আরেকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়।
এদিকে, ভূমিকম্প ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার থেকে মালদহের অনেক এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। এ ছাড়া সেখানকার আশেপাশের জেলাগুলোলে স্বল্প মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভব করেছেন স্থানীয়রা। এজন্য স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পত্রিকাটি জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কোচবিহার। কোচবিহারের দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, শীতলখুচিÍ সব জায়গাতেই কম্পন অনুভূত হয়েছে। মালদহের মানুষজনও জানাচ্ছেন, বেশকিছু ক্ষণ কম্পন অনুভব করেছেন তারা।
পত্রিকাটি আরো জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং চীনে বিভিন্ন মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পন মাত্রা ছিল ৫.৩। মেঘালয় রাজ্যেও জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল মেঘালয়েরই রেসুবেলপাড়ার আশপাশে বলে জানা যাচ্ছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে আসামেও।
"