নিজস্ব প্রতিবেদক
পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ইইউর

আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান এনডিআই ও আইআরআই প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য বাংলাদেশ সফরের সিদ্ধান্ত। এরই মধ্যে ইসির সঙ্গে সময় চেয়ে আবেদন করেছে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আগামী ১০ অক্টোবর সময় দিয়েছে। এই প্রতিনিধিদলটি ইসির সঙ্গে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে ইসি সূত্র নিশ্চিত করেছে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইইউ ই-মেইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ই-মেইলটি সিইসির কাছে পাঠিয়েছে। চিঠিতে ইইউর বাজেট স্বল্পতার কথা বলা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইইউ জানিয়েছে, তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাবে না। তবে তারা যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে। ইইউর চিঠিতে সহিংসতা বা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়নি বলে দাবি করেন ইসি সচিব। আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান (হাই রিপ্রেজেনটেটিভ) জোসেপ বোরেলের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কথা বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। চিঠির বিষয়ে অবগত একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অক্টোবরে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র চিঠিতে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসে ঢাকা সফর করে যাওয়া ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোসেপ বোরেল। সিদ্ধান্তের পেছনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ২০২৩-২৪ সালের জন্য ইইউর বাজেটের স্বল্পতার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করা হবে কি না তা এ মুহূর্তে যথেষ্ট স্পষ্ট নয়। এমন সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ইইউ বর্তমানে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকার ব্যাপারে অন্যান্য বিকল্প খতিয়ে দেখছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয় তা নিশ্চিত করতে তারা সব ধরনের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছে।
"