চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাবমেরিন ক্যাবল ছিঁড়ে বিদ্যুৎহীন চরের ৬ গ্রাম

সাবমেরিন ক্যাবল ছিঁড়ে পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার তীরবর্তী ছয়টি গ্রামের মানুষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। কবে নাগাদ এ সংকট নিরসন হবে, তা বলতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

জানা গেছে, গত রবিবার রাতে পদ্মা নদীর তলদেশে বসানো সাবমেরিনের সব ক্যাবল ছিঁড়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর, দক্ষিণ পাঁকা, নিশিপাড়াচর ও কদমতলা এবং উজিরপুর ইউনিয়নের সেতারাপাড়া।

এছাড়া সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের সূর্যনারায়ণপুরে বিদ্যুৎসেবা বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচ দিন ধরে চরাঞ্চলে বিদ্যুৎসেবা বন্ধ থাকায় তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় তারা জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। বাড়তি খরচে জ্বালানি তেলে শ্যালো টিউবওয়েলে সেচ দিতে হচ্ছে। অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং, মুঠোফোনের চার্জ, নেটওয়ার্ক সেবার পাশাপাশি সরিষা-ধান-গম ভাঙানো মেশিনও বন্ধ রয়েছে। সাধারণ জীবনযাপনে পদে পদে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের।

আসাদুল্লাহ নামে দক্ষিণ পাঁকার এক বাসিন্দা জানান, গত পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎসেবা পাচ্ছেন না তার গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারকে বিষয়টি জানালেও তারা এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। কয়েকশ’ পরিবার কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে। তারা সবাই সাবমেরিন ক্যাবলের সাহায্যে বিদ্যুৎসেবার আওতায় ছিল। এ সমস্যার কথা জানানোর পরও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জানান শিবগঞ্জের পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহা. আবদুল মালেক।

আবদুল মালেক বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের সাহায্যে চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ আসায় এলাকার মানুষের জীবনমান বদলে গেছে। বিদ্যুৎ ছাড়া তাদের জীবনযাত্রা অচল হয়ে যায়। এ মাসের শুরুর দিক থেকেই সাবমেরিন ক্যাবলের দুটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন। লোডশেডিংয়ের সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েছিল। তবু এলাকায় কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ এলেও মোবাইল ফোনে চার্জসহ অন্য কাজ করা হয়ে যেত। কিন্তু গত পাঁচ দিন ধরে চরাঞ্চলে কোনো বিদ্যুৎ নেই। এলাকার মানুষ পদে পদে ভোগান্তিতে পড়ছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, ১০ সেপ্টেম্বর রাতে সাবমেরিন ক্যাবলের তার ছিঁড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ জনবল অন্য আরেক জায়গায় কাজ করছে। ফলে এখানের সাবমেরিন ক্যাবলটি মেরামতে সময় লাগতে পারে। আপাতত তাদের কিছু করার নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close