পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীন। শুক্রবার (২ জুন) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।

তার এপিএস দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি তিন বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নেন। কিছুদিন ধরে শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। অবশেষে তিনি সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন।

তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। দুই সন্তানের মধ্যে ফয়সাল আমীন পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং ছোট ছেলে মাহিদ বিন আমীন চিকিৎসক। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে আছেন।

ঢাকায় সংসদ ভবনে জানাজা শেষে মরদেহ চট্টগ্রামে নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার চট্টগ্রামে জানাজা শেষে দাফন হবে।

পেশায় চিকিৎসক আফছারুল আমীন ১৯৯১ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের পর বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সেবা করে আলোচনায় আসেন। এরপর তিনি পান নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব। চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। কাজ করেছেন নৌমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী হিসেবে। সবশেষ তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদে ছিলেন।

শিক্ষাখাতেও অবদান রেখেছেন আফছারুল আমীন। চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় তার পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠে প্রাণহরি আমীন একাডেমি। এ একাডেমির অধীনে এবং এর বাইরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।

আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইসমাইল খান এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আবু হানিফ ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান।

"