প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
করোনার চেয়েও দ্রুত ছড়ায় এক্সবিবি
চীনে এবার করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এক্সবিবি ছড়িয়ে পড়েছে। চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে ভাইরাসটির সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ছয় কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার এক্সবিবি ধরনটি ওমিক্রনের অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি কাজ করে না। ভ্যারিয়েন্টটি আগের বেশ কটি ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণে তৈরি বলে একে বলা হয় রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস।
এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে করোনার আরেকটি ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে চীন। কোনো দেশের জন্য এটি অবশ্যই এক ভয়াবহ শঙ্কার পূর্বাভাস। আর এই পূর্বাভাস জানাচ্ছে করোনাভাইরাসের উৎস দেশ চীন। খবর এবিসি নিউজের।
এদিকে কয়েক দিন ধরেই বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও নতুন করে শনাক্তের সংখ্যা কম ছিল। তবে শুক্রবার বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে গেছেন আগের দিনের তুলনায়। এ সময় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮৬ জন। একই সময় ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৪৪ জন। করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে শনিবার (২৭ মে) সকালে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটির তথ্য বলছে, শুক্রবার বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে শীর্ষে ছিল জার্মানি, আর এদিন একক দেশ হিসেবে এই রোগে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। বৃহস্পতিবার জার্মানিতে কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬৩৫ জন। একই দিন ১৯ হাজার ৮০ জন নতুন আক্রান্ত রোগী নিয়ে দৈনিক আক্রান্তের হিসাবে শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি, এদিন দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের।
জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া বিশ্বের আরো যেসব দেশে শুক্রবার মৃত্যু ও সংক্রমণের উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো- ইতালি (মৃত ২৬, নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৪১৪) বেলজিয়াম (মৃত ২৬, নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৬৬ জন), যুক্তরাষ্ট্র (মৃত ২১, নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৬৫৯ জন), এবং মেক্সিকো (মৃত ১৮, নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ৩৬১ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৭ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৫ জন। এদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার ৮০৬ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৮ হাজার ১৬৯ জন।
"