নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ মে, ২০২৩

৩৩ বছর পর ধরা পড়লেন হত্যাকারী

১৯৯০ সালের ২১ মার্চ ঝগড়ার জের ধরে মো. শাহাবউদ্দিন তার সহপাঠী মো. সবুরকে পেরেকযুক্ত কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সবুর মারা যান। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি ধরা পড়েছেন। চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে মো. শাহাবউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।

র‌্যাব জানিয়েছে, সহপাঠীকে খুন করে এ ব্যক্তি ৩৩ বছর পালিয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১৬ বছর আগে সাজার পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তার বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার শৈলকাঠি গ্রামে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, র‌্যাব-৭-এর পতেঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, শাহাবউদ্দিন ৩৩ বছর নিজের পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই আদালত শাহাবউদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। শাহাবউদ্দিন সবশেষ একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা মাহফুজ জানান, আনোয়ারা উপজেলার একটি মাদরাসায় পড়ার সময় ১৯৯০ সালের ২১ মার্চ ঝগড়ার জের ধরে মাদরাসার সামনেই শাহাবউদ্দিন তার সহপাঠী মো. সবুরকে পেরেকযুক্ত কাঠের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে মো. সবুর মারা যান। এ ঘটনায় সবুরের বাবা আনোয়ারা থানায় একটি মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই শাহাবউদ্দিন বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে পরিচয় গোপন করে থাকতে শুরু করেন। একপর্যায়ে আবু বক্কর সিদ্দিকী নাম ধারণ করেন। যার কারণে আসল নামে তাকে কেউ চিনত না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close