প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৬ মে, ২০২৩

এশিয়ার লৌহমানবী শেখ হাসিনা

দ্য ইকোনমিস্ট

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এশিয়ার লৌহমানবী হিসেবে উল্লেখ করেছে প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। এতে বলা হয়েছে, শক্ত হাতে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখায় লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনটি বুধবার (২৪ মে) প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারী সরকারপ্রধান। তিনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে দুই দশকের সময় তিনি তার ১৭ কোটি মানুষের দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ পর পর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। সব মিলিয়ে চারটি, যা ইন্দিরা গান্ধী বা মার্গারেট থ্যাচারের চেয়ে একটি বেশি। আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে তিনি আশা করছেন।

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশটিকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ করতে চাই।’ দুর্নীতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখল করা সামরিক সরকারকে দায়ী করেন। তিনি দাবি করেন, সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক আর্থিক অনিয়মের ঘটনা আবিষ্কার করেছে। দুর্নীতির কোনো সমস্যা নেই। হয়তো নিচের স্তরে কিছুটা দুর্নীতি আছে। তবে এখন খুব একটা নেই। কেউ যদি এমনটা করার সাহস করে, তবে আমি ব্যবস্থা নেব।

বিএনপিকে অবৈধভাবে সামরিক শাসকের দ্বারা গঠিত দল হিসেবে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। পাকিস্তানের সাবেক মিত্র ও দেশের বড় ইসলামি দলটিকে যুদ্ধাপরাধী বলেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো দল (আওয়ামী লীগ ছাড়া) আছে বলে আমরা মনে করি না।’

ইকোনমিস্ট উল্লেখ করেছে, আসন্ন নির্বাচনেও বিএনপির ঘুরে দাঁড়াবার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা বলছেন, শুধু প্রকৃত রাজনৈতিক দলকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া উচিত। বিরোধী দলের এ যোগ্যতা নেই।

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্ত হাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখায় লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। অবকাঠামোগত বিনিয়োগসহ এমন কিছু নীতি তিনি প্রণয়ন করেছেন, যার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির গতি বজায় ছিল। দুর্বল কোনো সরকারের পক্ষে এটা করা হয়তো সম্ভব হতো না।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক তাদের নিজস্ব বিষয়, সেখানে আমি কেন নাক গলাতে যাব।’

যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিজেদের গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দাবি করলেও আমাদের দেশের ক্ষেত্রে তাদের সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন দেখা যায় না। কেন আমাকে তারা সমর্থন করে না?’

শেখ হাসিনা বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে অবসরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছেন না তিনি। সরকারের ‘ভিশন-২০৪১’ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শেষ পর্যন্ত দেখতে পাবেন না সেটাও স্বীকার করে দলে তার উত্তরসূরীর বিষয়ে বলেন, আমি যদি না থাকি, তা হলে জানি না ক্ষমতায় কে আসবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close