নিজস্ব প্রতিবেদক ও গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৮ মার্চ, ২০২৩

জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা

‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ এই প্রতিপাদ্যে শুক্রবার (১৭ মার্চ) উদযাপিত হয়েছে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। ১৫ আগস্টের বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেক দফা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় যান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুরা ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম তার পুত্র রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এবং প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধি সৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বাইয়েও স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতি হামিদ সমাধি প্রাঙ্গণে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।

বেশ কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে সারা দেশে পালিত হয়ে আসছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা, কোরআনখানি, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে কোরআনখানি, দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আহ্বান জানিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close