তিন ফসলি জমিতে সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রকল্প করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তিন ফসলি জমিতে কোনো ধরনের প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাছ থেকে তিন ফসলি জমিতে উন্নয়ন ও স্থাপনা তৈরির কাজের জন্য আবেদন পাওয়া যাচ্ছে। সোলার প্যানেল থেকে শুরু করে ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, এসব জমিতে কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব উন্নয়ন কাজের জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। সরকার এখন নিয়মিত তিন ফসলি জমি রক্ষার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এদিন ভেজাল এবং নকল ওষুধ তৈরি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ঔষধ আইন ২০২২’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনে ‘ঔষধ’-এর সঙ্গে ‘কসমেটিকস’ শব্দটিও যোগ করা হয়েছে। আইনটি এখন থেকে ‘ঔষধ এবং কসমেটিকস আইন-২০২২’ নামে হয়েছে। নতুন এই আইনে কোনো ওষুধ ক্ষতিকারক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে। আর এই আইন অনুযায়ী ওষুধের উৎপাদন থেকে সব ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, এখন থেকে নতুন করে প্রসাধনী উৎপাদন করতে হলে সরকারের লাইসেন্স বা অনুমোদন নিতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন ঔষধ আইনে ৩০টি অপরাধ যুক্ত করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। প্রস্তাবিত এই আইনে কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে।

এছাড়া বৈঠকে ‘কপিরাইট আইন ২০২২’-এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই বৈঠকে প্রতিবছর ১৬ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিক তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

"