খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

পার্বত্য অঞ্চল

সেনাবাহিনীর সঙ্গে দায়িত্বে পুলিশের বিশেষ ইউনিট

খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান- এই তিন পার্বত্য জেলার নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থেকে কাজ শুরু করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। আর্মড পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আরো একটি ইউনিট চালু হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, নাম হতে পারে মাউন্টেন পুলিশ।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরই মধ্যে ইউনিটটি করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি অনুমোদন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। পুরোপুরি অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই শুরু হবে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, পাহাড়ি এলাকায় কাজ করতে বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। পাহাড়ি এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতার বিষয় রয়েছে, সেসব বিষয় অন্য যেকোনো এলাকা থেকে আলাদা। সে কারণেই প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো কাজের আগে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষায়িত ইউনিটটির ব্যাটালিয়ন শুরুর আগে এতে নিয়োগ দেওয়া পুলিশ সদস্যদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ শুরু হবে। পাহাড়ের বৈরী পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়গুলো প্রশিক্ষণের সময় গুরুত্ব দেওয়া হবে। সীমান্ত নিরাপত্তাসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ, নানা ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপত্তায় কাজ করবে বাহিনীটি।

এপিবিএনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব দুর্গম এলাকায় জেলা পুলিশ যেতে পারে না, সেসব এলাকায় এপিবিএনের অপারেশন চলমান রয়েছে। পার্বত্য তিন জেলার কার্যক্রম শুরু হলে এর সদর দপ্তর হবে রাঙামাটিতে। এই ইউনিটের প্রধান হবেন একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এছাড়াও পাঁচজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১১ জন পুলিশ সুপার, ২১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ২১ জন সহকারী পুলিশ সুপার, চারজন মেডিকেল অফিসার, ৭১ জন পরিদর্শক ইন্সপেক্টর, ২৪৭ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ২৫৮ জন এসআই এবং কনস্টেবল ও নায়েক থাকবেন ১ হাজার ৫০০-রও বেশি; সব মিলিয়ে ২২৬০ জনবল নিয়ে শুরু হবে আর্মড পুলিশের অধীনে নতুন বিশেষায়িত ইউনিট।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, পাহাড়ি এলাকায় কাজ করতে এপিবিএনের অধীনে বিশেষ পুলিশ নিয়োগ ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নতুন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এপিবিএনের যেসব জনবল রয়েছে সেখান থেকে ওই ইউনিটে পাঠিয়ে কিছু জনবল পূরণ করে দিন ব্যাটালিয়নে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় দায়িত্বগত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের অস্ত্র এবং ট্রেনিং নিয়ে পার্বত্য জেলায় কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close