নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

তথ্য আঁচল ফাউন্ডেশনের

গেল বছরে আত্মহত্যা ৪৪৬ শিক্ষার্থীর

দেশে ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল ও কলেজপর্যায়ের ৪৪৬ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন।

আঁচল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৩৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৯, মার্চে ৪১, এপ্রিলে ৫০, মে মাসে ৪৫, জুনে ৩১, জুলাইয়ে ৪০, আগস্টে ২১, সেপ্টেম্বরে ৩২, অক্টোবরে ৩০, নভেম্বরে ৪৯ এবং সবশেষ ডিসেম্বরে ৩৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। দেখা যায়, এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক স্কুল এবং কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন, যা ছিল ৫০ জন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৩৭ জন স্কুল এবং কলেজগামী শিক্ষার্থী আত্মহননের দিকে এগিয়ে গেছেন।

দেশের পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী আত্মহত্যায় শীর্ষে ঢাকা। বিভাগটিতে আত্মহত্যা ২৩.৭৭ শতাংশ। এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ যা ১৭.২৭ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগ যা ১৬.৮১ শতাংশ। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ১৪.১৩ শতাংশ, রংপুরে ৮.৭৪, বরিশালে ৮.৫৩, ময়মনসিংহে ৬.২৭ এবং সিলেটে ৪.৪৮ শতাংশ স্কুল ও কলেজপড়ুয়া আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থী রয়েছেন।

পরিসংখ্যান বলছে, নারীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি। স্কুল এবং কলেজপড়ুয়া আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৬০ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং পুরুষ রয়েছেন ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। শুধু স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যাকারী নারী শিক্ষার্থীর পরিমাণ ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ। শুধু কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যাকারী নারী ৫৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং পুরুষ ৪০ দশমিক ৫৬ শতাংশ রয়েছে।

আত্মহত্যার পেছনের কারণ হিসেবে মান-অভিমানকে দেখানো হয়েছে। জরিপে উঠে আসা এমনই বেশ কিছু কারণের মধ্যে দেখা যায়, অভিমান তাদের সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ করে তোলে। ২৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন অভিমান করে। এদের বড় অংশই অভিমান করেছিল পরিবারের সদস্যদের ওপর। অন্য কারণের মধ্যে রয়েছে প্রেমঘটিত কারণ, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তানসেন রোজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, সেরেনিটি-একটি মনোসামাজিক সহায়তা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা অংশীদার এবং পরামর্শক মনোবিজ্ঞানী শাহরিনা ফেরদৌস প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close