নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩

বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ, গ্রেপ্তার চালক-হেলপার

বাসের ধাক্কায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা কাওলা মোড় অবরোধ করেছেন। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাজধানীর কাওলা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েক শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেন। এর আগে নাদিয়া সুলতানার সহপাঠীরা নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে তারা কাওলা মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করেন। তবে কাওলা মোড়ে অবরোধ করে রাখলেও বিদেশগামী যাত্রী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে রাস্তার পাশ দিয়ে যেতে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা যানবাহনের লাইসেন্স দেখে দেখে গাড়ি ছাড়েন।

এর আগে রাজধানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানাকে চাপা দেওয়া বাসের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানার পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের।

উপকমিশনার আবদুল আহাদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) ক্লাস না থাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে তার মোটরসাইকেলে করে বই কিনতে উত্তরা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাচ্ছিলেন নাদিয়া। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস। এতে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। বাসটি নাদিয়াকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন নাদিয়ার বন্ধু মোটরসাইকেলচালক মেহেদি। তবে তার আঘাত গুরুতর নয়। নাদিয়া নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়। তিন বোনের মধ্যে সবার বড় নাদিয়া। তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন একটি পোশাক কারখানায় সহকারী মহাব্যবস্থাপক পদে চাকরি করেন।

নাদিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন রবিবার (২২ জানুয়ারি) বলেছিলেন, তার মেয়ের স্বপ্ন ছিল বড় ফার্মাসিস্ট হবে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close