প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ ডিসেম্বর, ২০২২

জাতিসংঘ প্রস্তাবে বঙ্গবন্ধুর উক্তি সন্নিবেশ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ডায়ালগ অ্যাজ আ গ্যারান্টি অব পিস, ২০২৩’ শীর্ষক প্রস্তাবে সন্নিবেশ করা হলো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ও মহান উক্তি- ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’, যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি।

কোভিড-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাধারণ পরিষদের প্লেনারিতে রেজুলেশনটি উত্থাপন করে তুর্কমিনিস্তান। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। নিউইয়র্ক জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বমানবতা ও বিশ্ব শান্তির অন্যতম প্রবক্তা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তিটি এবারই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ রেজুলেশনে সন্নিবেশিত হলো।

রেজুলেশনটির ১৪তম প্যারায় বঙ্গবন্ধুর উক্তিটি যেভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে, তা ছিল দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, নিরক্ষরতা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারো প্রতি বিদ্বেষ নয় মর্মে জোর দেওয়া হলে তা এ উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণদানকালে জাতির পিতা যে বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন, সেগুলোর ধারণামূলক ভিত্তি থেকে এই অনুচ্ছেদটির প্রস্তাব তৈরি করা হয়।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিতের দিকনির্দেশনায় মিশনের কূটনীতিক ড. মো. মনোয়ার হোসেন রেজুলেশনটির প্রস্তুতি পর্ব থেকে শুরু করে চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করেন। ফলে বিশ্ব শান্তিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় গৃহীত এই রেজুলেশনটিতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক উক্তিটি অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়।

রেজুলেশনটিতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ কোস্পনসর করে। সর্বমোট কোস্পনসর করে ৭০টি দেশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close