এক মাসেও বুয়েটশিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশার কথা জানিয়েছেন তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন। আর ফারদিনের সহপাঠীরা লিখিত বক্তব্যে জানান, এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি এবং ছায়া তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে আসা পরস্পরবিরোধী তথ্য দেখে তারা বিভ্রান্ত।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধন করে লিখিত বক্তব্যে তারা ফারদিন হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন। মানববন্ধনে ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বুয়েট ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ফারদিন হত্যার বিচার দাবি করেছে।

গত ৪ নভেম্বর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর নিখোঁজ হন। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৮ নভেম্বর ফারদিনের ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক বলেন, ফারদিনের বুকে ও মাথায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আজ ফারদিনের মরদেহ পাওয়ার ২৯ দিনে এসেও আমরা জানি না কী কারণে আমাদের বন্ধু ফারদিনকে হত্যা করা হলো। তদন্তের এই দীর্ঘসূত্রতা দেখে আমরা বুয়েটশিক্ষার্থীরা অনেক আশাহত। এরই মধ্যে এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি এবং ছায়া তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে আসা পরস্পরবিরোধী তথ্য দেখে আমরা বিভ্রান্ত।’

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ফারদিনের পরিবারের পাশে আছে জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফারদিনের পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে ফারদিনের মতো আর কোনো মেধাবীপ্রাণ এভাবে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে না।’

মানববন্ধনে ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন বলেন, ‘এক মাসেও খুনিরা চিহ্নিত হয়নি, এটা দুঃখজনক। তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি, এতে হতাশ হয়েছি। আশা করি, তদন্তকারীরা ফারদিনের খুনিদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবে। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

ফারদিন খুনের পর বুয়েট প্রশাসনের সমালোচনা করে ফারদিনের বাবা বলেন, এখানে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করছেন, অথচ প্রশাসনের কেউ তাদের সহমর্মিতা জানানোর প্রয়োজন মনে করছে না।

"