ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২

ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন সুইজারল্যান্ডের

আজকের ম্যাচ : * ফ্রান্স-পোল্যান্ড, রাত ৯টা * ইংল্যান্ড-সেনেগাল, রাত ১টা

রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, বাছাইয়ে পগবাকে পেছনে ফেলে সরাসরি উঠে আসা সার্বিয়া এবং অদম্য সিংহ নামে পরিচিত ক্যামেরুনের গ্রুপ থেকে সুইজারল্যান্ডের জন্য শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেওয়া সহজ ছিল না। সার্বদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতার পাশাপাশি টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয় সুইসরা। কঠিন ধাপ পেরিয়ে আরো অনেকটা পথ এগিয়ে যাওয়ার মনোবল পাচ্ছেন দলটির কোচ মুরাত ইয়াকিন। বললেন, তাদের লক্ষ্য এবার ইতিহাস গড়া। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ‘জি’ গ্রুপে গত শুক্রবার রাতে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারায় সুইজারল্যান্ড। ব্রাজিল ও তাদের পয়েন্ট সমান ৬ হলেও গোল পার্থক্যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তিতের দল, রানার্সআপ সুইজারল্যান্ড।

বিশ্বকাপ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে টানা পাঁচটি বড় টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের টিকিট পেল সুইজারল্যান্ড। কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আগামী মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইউরো-২০১৬ চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। বিশ্ব সেরার মঞ্চে এখন পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের সেরা সাফল্য কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা। সার্বিয়া ম্যাচের পর ইয়াকিন বলেন, নিজেদের খেলা উপভোগ করে আরো এগিয়ে যেতে চান তারা। খেলোয়াড়দের ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য ছিল এবং কাজ এখনো শেষ হয়নি। দল আজ আরো ঐক্যবদ্ধ ছিল, আরো অভিজ্ঞ হয়েছে। এখন আমরা সময়টা উপভোগ করব। ফুটবলে এমন মুহূর্তগুলোর জন্যই আমরা বেঁচে থাকি।

এদিকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের টিকিট পেয়েছে মরক্কো।

কাতার বিশ্বকাপ এরই মধ্যে স্মরণীয় হয়ে গেছে আফ্রিকার দেশটির কাছে। ক্রোয়েশিয়াকে আটকে দেওয়ার পরের ম্যাচে শক্তিশালী বেলজিয়ামকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় তারা। আর শেষ ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে গ্রুপসেরাও হয়েছে মরক্কো।

কঠিন গ্রুপের বাধা টপকে নক আউটে যাওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে মরক্কো। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র তিন মাস আগেই বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিল দলটি। কোচিং প্যানেলে আসে রদবদল। তাতে বিশ্বকাপে ভালো করা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। তিন বছর ধরে কাজ করা ভাহিদ হালিলহোজিচকে সরিয়ে মরক্কোর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের কাঁধে। মরক্কোর সাবেক এই ফুটবলার দায়িত্ব নিয়েই দলে ফিরিয়ে আনেন হাকিম জিয়েক, আবদের রাজ্জাক ও নওশাইর মাজরায়িকে। আগের কোচ হালিলহোজিচের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে দলে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তারা। তাদের দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত যে মোটেও ভুল ছিল না সেটির প্রমাণ মিলেছে গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্সে। তিন ম্যাচেই মরক্কোর আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন চেলসিতে খেলা জিয়েক। এক গোলের পাশাপাশি করেছেন একটি অ্যাসিস্টও।

মরক্কোর এই দলের সবচেয়ে বড় শক্তির দল হিসেবে খেলতে পারা। তাই শেষ ষোলোতেই থেমে যেতে চান না কোচ রেগরাগুই, ‘এখন আমরা বড় স্বপ্ন দেখছি, শেষ ষোলোতেই থেমে যেতে চাই না। আমরা এমন একটা দল হতে চাই, যাদের হারানো কঠিন হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close