নিজস্ব প্রতিবেদক
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
পাসের হার ৮৭.৪৪% বেড়েছে জিপিএ ৫
নানা দুর্বিপাকে বিলম্বিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গতবারের চেয়ে কম। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও সমমানের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্কুলের গণ্ডি অতিক্রম করা এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯জন পাস করেছে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। এই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ পয়েন্ট। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থী বেড়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জন। আগেরবার এই পরীক্ষায় পাস করেছিল রেকর্ড ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে তার কার্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পরে দুপুর ১টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে এলেও মহামারিতে শিক্ষাসূচি পাল্টে যাওয়ায় এ বছর সাড়ে চার মাস পিছিয়ে ১৯ জুন পরীক্ষা শুরুর দিন ঠিক হয়েছিল। পরে বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া সে পরীক্ষা শুরু হয় আরো তিন মাস পর, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে।
দিনাজপুর বোর্ডে প্রশ্ন ফাঁসের কারণে চার বিষয়ে নতুন সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও তা উতরে গেছেন সংশ্লিষ্টরা। মহামারিতে প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকায় এ বছরও পুনর্বিন্যস্ত ও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে সময় কমিয়ে দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। নম্বর কমিয়ে বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে পরীক্ষা হয় ৫০ নম্বরে। এ ছাড়া ব্যবহারিক আছে এমন বিষয়ে ৪৫ নম্বরে ও ব্যবহারিক নেই- এমন বিষয়ে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান- এসব বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়।
এদিকে, এবারও পাসের হার এবং জিপিএ ৫ পাওয়ার সংখ্যা দুদিক দিয়েই সংখ্যায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। ছাত্রদের পাসের হার যেখানে ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, সেখানে ছাত্রীদের মধ্যে ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ পাস করেছে। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ ছাত্রের চেয়ে ৬২ হাজার ৮১ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ২৮ হাজার ৮৪৫ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
বোর্ডভিত্তিক পাসের হারে দেখা গেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৯০.০৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫.৮৮, কুমিল্লা বোর্ড ৯১.২৮, যশোর ৯৫.১৭, চট্টগ্রাম ৮৭.৫৩, বরিশাল ৮৯.৬১, সিলেট ৭৮.৮২ ও দিনাজপুর ৮১.১৬ শতাংশ। এ ছাড়া মাদরাসা বোর্ডে ৮২.২২ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৯.৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ ক্ষেত্রে পাসের হারে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
২০২১ সালে জিপিএ ৫ ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। ২০২২ সালে জিপিএ ৫-এর সংখ্যা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। জিপিএ ৫ বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জন। প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৬০৪টি। কেন্দ্র বেড়েছে ১১০টি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে। ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯১.১২। ফলাফলে দেখা গেছে, চলতি বছর ২১৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ১১২ শিক্ষার্থী। এরই মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪০। পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন।
এ বছর বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, মানবিকে ৭৮ দশমিক ৮২ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৯১ দশমিক ৩০ শতাংশ। বিজ্ঞানে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৫২৫ জন, মানবিকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৭৬ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ জন।
কুমিল্লা : কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৪৮৪ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৯ হাজার ৯৯৮ শিক্ষার্থী।
জানা যায়, জিপিএ ৫-এর সংখ্যা বাড়লেও কুমিল্লায় এবার পরীক্ষার্থী ও পাসের হার কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। এ বছর পাসের সংখ্যা ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও মেয়েরা এগিয়ে।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৫ হাজার ৩৩৯ জন, উত্তীর্ণ হয় ৫৪ হাজার ৯৯২জন। মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায অংশগ্রহণ করে ৬৯ হাজার ৪৪৬ জন, উত্তীর্ণ হয় ৬৭ হাজার ৭৯৬ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে ৬৪ হাজার ৮৯৭ জন, উত্তীর্ণ হয় ৫৯ হাজার ১২০ জন।
দিনাজপুর : দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ৫৮৬ জন। এবার পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা।
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. তোফাজ্জুর রহমান জানান, গতবারের মতো এবারও ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। ছাত্রীদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর ছাত্রদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৫ হাজার ৫৮৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী ১৩৩৬৮ জন এবং ছাত্র ১২২১৮ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে ৮২ হাজার ৬৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৯ হাজার ৪০৭ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন ছাত্র ও ৩৫ হাজার ১১৪ জন ছাত্রী। বিজ্ঞান বিভাগে গড় পাসের হার ৯৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. তোফাজ্জুর রহমান আরো জানান, এ বছর ১৬৯৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এ ছাড়া ৩৬ জন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। এবার শূন্য ফলাফল বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫টি, যা গতবার ছিল শূন্য। এবার আর শতভাগ পাস করেছে ৮৭টি বিদ্যালয়, যা গতবারে ৪৯৩টি।
যশোর : এবার ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ গড় পাসের হার নিয়ে শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে যশোর বোর্ড। এরই মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও মেয়েদের ৯৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। এদিকে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে যশোর বোর্ডে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৯২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১৬ হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থী।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ বলেন, এ বছর এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন নির্ধারিত সিলেবাসের মধ্য থেকে হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে উত্তর দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অনেক বিকল্প (অপশন) ছিল। শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র ভালো হওয়ায় ফলাফল ভালো হয়েছে। প্রশ্নব্যাংকসহ যশোর বোর্ডের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীদের মূল বইয়ের প্রতি নির্ভরতা বেড়েছে। এজন্য তারা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে।
ময়মনসিংহ (মহানগর) : ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আর বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী।
বোর্ড সূত্র জানায়, বোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৯ হাজার ৯৫২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৯৭ হাজার ৮৮২ জন। ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, মানবিক বিভাগে ৮৩ দশমিক ৩৫ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৯০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
অন্যদিকে ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হারে ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৫৭৭ জন, পাসের হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। পাস করা ছাত্রীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০৫ জন ও তাদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রসংখ্যা ৬ হাজার ৭৬৮ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৮ হাজার ৪৪৮ জন। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে জামালপুর জেলা।
সিলেট : টানা ৫ বছরের পরিসংখ্যানে রেকর্ডসংখ্যক জিপিএ ৫ এলেও পাসের হারে এবার ধস নেমেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। পাসের হারে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে সিলেট বোর্ড। এ বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী। গেল বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৮৩৪ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, এবার পরীক্ষার আগে সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অনেক পরীক্ষার্থী বই, খাতা ও নোট হারিয়েছে। প্রস্তুতি নিতে পারেনি। বন্যার পর বই দেওয়া হলেও নোটবই দেওয়া যায়নি। বন্যার কারণে পরীক্ষাও পিছিয়েছে। এ কারণেই সিলেট বোর্ডে পাসের হার কমেছে। তিনি বলেন, এবার গণিত ও ইংরেজি বিষয় গড় ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। ইংরেজিতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও গণিতে ৮৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরো বলেন, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী অধিক হওয়ায়ও পাসের হার কমেছে। দেশের অন্যান্য বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি থাকে। কিন্তু সিলেট বোর্ডে সে তুলনায় বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী কম। বন্যায় পাসের হার কমলেও কীভাবে জিপিএ ৫ বাড়ল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা। আর জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে শহরের শিক্ষার্থীরা। বন্যায় ক্ষতি তাদের তুলনামূলক কম হয়েছে। এ বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ ৫ দুটোতেই এগিয়ে মেয়েরা। ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। অন্যদিকে মেয়েদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।
"