গাজী শাহনেওয়াজ

  ২২ নভেম্বর, ২০২২

ধানমন্ডির ১৩৯-এ সম্পত্তি ঘিরে রহস্য

আদালতের রায়ে ৬৫ বছর ভোগ-দখল করার পর সম্পত্তি হারিয়ে এখন নিঃস্ব হলেন এস নেহাল আহমদ নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে, ২০১৬ সালে সরকারের এক সাবেক সচিবের ভাইয়ের নামে ওই সম্পত্তি ঘিরে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দের পর পুরো প্রেক্ষাপট বদলে যায়। এর আগ পর্যন্ত সবকিছু ছিল ঠিকঠাক।

দীর্ঘদিনের মীমাংসিত বিষয়টি ওই নামীয় ব্যক্তি বরাদ্দ পেলে সরকার পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে একটি মামলা রুজু হয়। রায়ের পর এস নেহাল আহমদ জানান, তার এই সম্পত্তি বেহাত হওয়ার পেছনে সাবেক সচিব ও তার ভাইয়ের প্রভাব কাজ করেছে। তার অভিযোগ, সচিব হিসেবে একজনের নামীয় সম্পত্তি অন্যের নামে বরাদ্দ দিয়ে সব বিধি ভাঙেন। এরপর বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি যে কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ওই কোর্টেই মামলা পরিচালিত হওয়ায় ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন তিনি। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আগেও আশঙ্কা ছিল; সোমবারের রায়ে প্রতিফলন দেখতে পেলাম।

এর আগেও বরাদ্দপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খন্দকার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, রায়টি সরকারের পক্ষে যাবে। তার দাবি ছিল, কাগজপত্র ও দীর্ঘ শুনানির মোটিভ তাই নির্দেশ করে। সোমবার জানতে চাইলে তিনি বলেন, রায়টি সরকারের পক্ষে গেছে। দীর্ঘদিন পর সরকারের দেওয়া সম্পত্তি সরকার আবার ফেরত পেয়েছে- এটাই স্বস্তির।

নথির তথ্য বলছে, এর আগ পর্যন্ত ধানমন্ডি মৌজার প্লট নম্বর ১৩৯/এ (পুরাতন), রোড-১-এর এক বিঘা সম্পত্তির মূল অংশীদার ছিলেন সাতক্ষীরা নিবাসী আবদুল গফুর খানের ছেলে আবদুল হাকিম খান। যার দলিল নম্বর : ৮৩৭৮। তাদের অনুকূলে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে ৯৯ বছরের জন্য বরাদ্দ দেয়।

সম্পত্তির বৈধতার সূত্র ধরে ১৯৬০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে আবদুল হাকিম খান বিক্রির অনুমতিপত্র (সেল পারমিশন) নিয়ে এস জামিল আক্তার, এস জলিল আক্তার এবং এস নিজাম উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে এস নেহাল আহমদের নামে সাফকবলা দলিল মূলে সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। কবলা দলিল নম্বর : ৮৬৫৬।

এই বৈধ দলিলের আলোকে ১৯৬৯ সালের ৬ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ২৯০০/এল নম্বর স্মারক মূলে নামজারি সম্পন্ন করেন। কেনার পর থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্বিঘেœ বসবাস শুরু করেন। অভিজাত এলাকায় এত বড় সম্পত্তির দিকে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নজর পড়ে। তারা তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করে। একপর্যায়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে সম্পত্তি ফেলে রাতের অন্ধকারে এলাকা ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন সম্পত্তির মূল মালিক অনুপস্থিতির সুযোগে ১৯৮৬ সালে সরকার কর্তৃক এই সম্পত্তি ‘ক’ তালিকার্ভুক্ত করা হয়। স্বাধীনতার সপক্ষের সরকার দীর্ঘদিন পর ক্ষমতায় এলে ১৯৯৭ সালে এস নেহাল আহমদ সম্পত্তিটি ‘ক’ তালিকা থেকে অবমুক্তর জন্য ইন দ্য ফার্স্ট কোর্ট অব সেটেলমেন্ট বাংলাদেশ এবন্ডন্ড বিল্ডিং সেগুনবাগিচা, আবেদন করেন। পরে ওই আদেশ ৮৪/১৯৯৬ নম্বর মামলা হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়। আদালত সরকার ও বাদী উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে শুনানি শেষে ১৯৯৭ সালে তার (নেহাল) পক্ষে রায় দেয়। এ রায়ের আলোকে আবার পূর্ত মন্ত্রণালয়কে সম্পত্তি ফেরত পেতে দেন-দরবার করতে হয়। কোনো সুরাহা না হওয়ায় এস নেহাল আহমদ ২০০৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে ২৬৫৩/২০০৫ নম্বর রিট পিটিশন করেন। বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের দলিল-বস্তাবেজ পর্যালোচনা করে নেহালের পক্ষে রায় দেওয়া হয়। রায়ের পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে তাকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। এতেও কর্ণপাত করেনি পূর্ত মন্ত্রণালয়।

নিরুপায় হয়ে ২০০৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগে ১৪৬/২০০৬ নম্বর কনটেস্পট মামলা করেন এস নেহাল। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞ আইনজীবী তিন মাসের সময় আবেদন করেন। পরে তিনি বারবার সময় বৃদ্ধির আবেদন করতে থাকেন এবং রায়ের বিরুদ্ধে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে ২২৬০ নম্বর মামলা করেন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ বিস্তারিত শুনানি শেষে ২০০৯ সালে ১৭ আগস্ট আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। অতঃপর অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে ২২৬০/০৮ নম্বর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ দায়ের সফল হবে না মর্মে মতামত দেন। সেখানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে রেজিস্ট্রি ডিড নম্বর : ৮৩৭৮ ও সাফকবলা ডিড নম্বর : ৮৬৫৬ সঠিকতা যাচাই করে এস নেহালকে বৈধ মালিক উল্লেখ করে রায় দেওয়া হয়।

২০১২ সালের ১৭ ও ২২ এপ্রিল এস নেহাল আহমদ সশরীরে শুনানিতে উপস্থিত হলে সব দলিল-দস্তাবেজ পর্যালোচনা করে ২০১২ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এস নেহাল আহমদের পক্ষে সম্পত্তি অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু রহস্যজনকভাবে এসব আইনি ও শুনানি প্রক্রিয়া বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অবমুক্ত আদেশটি (স্মারক নম্বর আ: কো: ক: ১/২০১২/১৯৪) বাতিল ঘোষণা করে। বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে এস নেহাল আহমদের করা রিট পিটিশন মামলায় গেজেট বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে সম্পত্তি এস নেহাল আহমদকে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার পরও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালে ২২৫৬ নম্বর সিপি মামলা, ২০১৮ সালে ২৪২৭ নম্বর সিপি ও ২০১৮ সালে দীর্ঘ ২২ বছর পর ৯০৫১ নম্বর রিট মামলা করে; যা বর্তমানে শুনানি অব্যাহত আছে। ২১ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করা হয়।

বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অবিশ্বাস্যভাবে নথি উত্থাপিত হওয়ায় আদালতে রহস্যের তৈরি হয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সাড়ে ২৪ লাখ মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছে; প্রতিদিন বাড়ছে এর সংখ্যা।

সূত্র মতে, এ মামলাটি সচলের নেপথ্যের কারণ সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিবের ভাই নজরুল ইসলাম খন্দকারের অনুকূলে ধানমন্ডি মৌজার সম্পত্তির ওপর নির্মিত একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দপ্রাপ্তি ঘিরে। নথির তথ্য মতে, যে কোর্টেই মামলা সেখানকার সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলই নজরুল ইসলাম।

সম্প্রতি এ অভিযোগের বিষয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খন্দকার স্বীকার করে বলেছেন, ‘প্লটটির একটি ফ্ল্যাট আমার নামে বরাদ্দ হয়েছিল। বিষয়টি আমার ভাই সাবেক সচিব (শহীদুল্লাহ খন্দকার) জানতে পারলে সেটি বাতিল করেন। তিনি বলেন, বরাদ্দটি আমি পেয়েছিলাম ২০১৬ সালে আইনজীবী কোটায়। কিন্তু আমার বরাদ্দ বাতিল হওয়ার পর অন্য একজনের নামে সেটি বরাদ্দও হয়েছে; তার কাগজটি এখনো আমি হাতে পাইনি।’

তবে এই সম্পত্তির বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি। এটি নিয়ে কোর্ট অব স্যাটেলমেন্টে দুটি মামলা হয়েছিল। একটি মামলা করেছিলেন আবেদ খান ও তার ভাইয়েরা মিলে এবং অন্যটি এস নেহাল আহমদ। প্রথমটির রায় সরকারের পক্ষে গেলেও পরে এস নেহাল আহমদের করা মামলার রায় সরকারের বিপক্ষে যায়; যেটি ১৯৯৭ সালে। এর বিপক্ষে সরকার পক্ষ সিপি করে। বর্তমানে রিভিউতে আছে। পরে ২০১৮ সালে আরেকটি মামলা করা হয়; যার নম্বর ৯০৫১/১৮। এরই মধ্যে বাদী-বিবাদী সব পক্ষের শুনানি শেষ। সোমবার চূড়ান্ত রায়ের জন্য দিন ধার্য আছে। আশা করছি রায়টি সরকারের পক্ষে আসবে। প্রশ্ন উঠতে পারে আমি এ তো কিছু কীভাবে জানলাম, এ কথা উল্লেখ করে এই সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই সম্পত্তি-সংক্রান্ত মামলাটি যে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস তদারকি করছে ওই কোর্টের আমি একজন। কিন্তু এই মামলা পরিচালনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত না। এটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিজে, আমার সহকর্মী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) কাজী মাঈনুল ইসলাম ও একজন বিশেষ আইনজীবী শুকুমার বিশ্বাস পরিচালনা করছেন।’

তিনি বলেন, যেহেতু ওই কোর্টে আছি তাই মামলা-সংক্রান্ত সবকিছুই জানি। তাই ওই পক্ষটি আমার ফ্ল্যাট বরাদ্দ ও আমার ভাই সচিবের বিষয়টি আলোচনায় উঠিয়ে আমাদের কালারিং করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া কিছুই না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপিকা ফারজানা রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে রাইট টু প্রপার্টিজ- এটা একটা ফান্ডামেন্টাল রাইট। অর্থাৎ আমার এটা মৌলিক অধিকার। আমার সম্পত্তি আমি বিক্রি করব এটা আমার এখতিয়ার। একজনকে পূর্ণ মালিকানা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটা একটা লিগ্যাল প্রসেসে হচ্ছে। যেটা আপনি রেজিস্ট্রাড দলিলের মাধ্যমে দিচ্ছেন। সেই সম্পত্তি নামজারি হচ্ছে। অর্থাৎ সম্পত্তির মালিকানা ও দখল দুটিই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ যদি কোনো ভেজাল কাগজ দাঁড় করিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিকভাবে তার পরিবারের সদস্যদের কারো নামে ওই সম্পত্তিটা বরাদ্দ করে দেয়, তাহলে সেটা গুরুতর অপরাধ।’

তিনি আরো বলেন, ‘একইভাবে যিনি লিগ্যাল বরাদ্দের মালিক ছিলেন তার নাগরিক অধিকার ভঙ্গ বা ক্ষুণ্ন করা হলো। আদালত যে রায় দিয়েছেন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন।’

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সরকার থেকে একজনের নামে সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে অবমুক্ত হওয়ার পর নতুন করে সেই সম্পত্তির অন্যের দাবিদার হওয়ার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। আর এত বছর পর নতুন করে সরকারি সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বরাদ্দ দেওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন করে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে হয়তো সরকারি নথিতে পর্যাপ্ত তথ্য ছিল না, এমনও হতে পারে। যেমন সরকারের নথিতে ওই রকম তথ্য নেই, রায়ের কোনো কপি নেই বা বরাদ্দ দেওয়া কর্তৃপক্ষ জানে না। যাই হোক, এ ধরনের কর্মকাণ্ড উদ্দেশ্যমূলক, যোগ করেন এই সিনিয়র আইনজীবী। এখন উচ্চ আদালতের লিগ্যাল প্রসিডিউর অনুযায়ী অগ্রসর হওয়ায় শ্রেয়।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিতার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির অংশীদার সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, ‘এস নেহাল আহমদই ধানমন্ডির এই সম্পত্তির সঠিক ব্যক্তি। আইনগতভাবে এই সম্পত্তি ওনারই প্রাপ্য।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এখানে নানা রকমের লোভী মানুষ থাকে না? অভিজাত এলাকায় কার কী সম্পত্তি আছে; যার ওপর এসব তদারকির দায়িত্ব থাকে তারাই ত্রুটি খুঁজে সেগুলো দখল করার চেষ্টা করে। প্রকৃত মানুষ তার দীর্ঘদিনের ভোগ-দখলীয় সম্পত্তি আর কীভাবে পাবেন। এই সম্পত্তির ওনারশিপ সরকার একজনকে দেওয়ার পর, সদ্য বিদায়ি গৃহায়ন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের ভাই নজরুল ইসলাম খন্দকারের নামে অবিশ্বাস্যভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওনারা তো বরাদ্দই পেতে পারেন না। তারা এই সম্পত্তিটা দখল করার চেষ্টা করছেন, যা দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, আমার পয়েন্টটা হচ্ছে, আইন যেটাই বলবে সেটাই মেনে নেব। আইনের ভেতর দিয়ে সবকিছুই হোক। কারণ আমি আইনে বিশ্বাস করি। কোনোভাবেই আইনকে প্রভাবিত করার বা কারো ব্যক্তিগত প্রভাব থেকে আইনকে প্রভাবিত করা উচিত হবে না। আমি যেহেতু দেশের একজন নাগরিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ। এ দেশের সংবিধান বিশ্বাস করি। এই সংবিধান অনুয়ায়ী নৈতিকতা ও ন্যায়সংগতভাবে এটা মীমাংসিত হবে- সেটাই আমার কাম্য।’ তবে রায়ে অনেকটা হতাশ হয়েছেন বলে জানান আবেদ খান। তিনি বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close