দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে জাতীয়করণ করা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরিকালের ৫০ শতাংশ সময় গণনা করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছে আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে রবিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, মো. মোতাহার হোসেন সাজু, সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, নিগার সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।

পরে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ২০১৩ সালে সরকার সারা দেশের ২৬১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণ করেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয়করণ করা শিক্ষকদের চাকরির শর্তাদি নির্ধারণের জন্য বিগত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ‘অধিগ্রহণ করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৩’ জারি করে এবং ওই বিধিমালার ২(গ) ধারায় কার্যকর চাকরিকাল ৫০ শতাংশ গণনা করার কথা উল্লেখ আছে এবং একই বিধিমালার ৯(১) ধারায় উল্লেখ আছে যে, ‘কোনো শিক্ষকের নিয়োগ প্রদানের তারিখ হইতে কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে শিক্ষক পদে তাহার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হবে এবং ওই তারিখের অব্যাবহিত পূর্বে নিয়োগবিধির অধীন শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ ব্যক্তির নিচে ওই শিক্ষকের অবস্থান নির্ধারিত হইবে।’ ওই ৯(১)-ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে রবিবার দুই পক্ষের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে এবং জ্যেষ্ঠতাণ্ডসম্পর্কিত কার্যক্রমে স্থিতাবস্থার আদেশ দেয়।

"